আ’লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই কর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও জেলা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। এতে উত্তেজনা বিরাজ করে সম্মেলন প্রাঙ্গণে।

আ’লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই কর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি

প্রথম নিউজ, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন দলের একাংশের কিছু কর্মী সমর্থকরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও জেলা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। এতে উত্তেজনা বিরাজ করে সম্মেলন প্রাঙ্গণে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় ৯ বছর পর সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক মন্ডল, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহাবুব চন্দন, বালিঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী বিপ্লব ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জিহাদ মন্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক পদে জিহাদ মন্ডলের নাম ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের কিছু কর্মী চেয়ার ভাঙচুর ও ছোড়াছুড়ি করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, জাহিদুল আলম বেনু, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মীর রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল শহীদ মুন্নাসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জিহাদ মন্ডল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ দল। আর অনেক দিন পর কাউন্সিল হলো। যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন। পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পদবঞ্চিত সভাপতি পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কর্মীরা এই বিষয়টি জানতেন না। তারা ভোটের মাধ্যমে মনোনয়নের কথা বলছিলেন। ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদেরকে বোঝানোর পর তারা শান্ত হয়েছেন।

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, তাদের দাবি কেন্দ্রীয় ও জেলা প্রতিনিধি নেতাদেরকে জানিয়েছে মাত্র। তবে কোনো উশৃঙ্খলতার খবর পাইনি। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। যারা পদ পাননি তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom