আতঙ্কে সারারাত কাটলো রাজধানীবাসীর

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর বনশ্রীতে রোববার রাতে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগে রাত কাটালো রাজধানীবাসী। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে ধানমণ্ডিতে ১০-১২ জনের একদল ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। দুই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রীতে আনোয়ার হোসেন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে তার কাছে থাকা ২০০ ভরি সোনা ও এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরপর ডাকাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। প্রকাশ্যে এমন ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। এ ঘটনায় রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাত ৩টার দিকে তার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের যারা এগুলো করছে তাদের ঘুম আমি হারাম করে দেবো। তারা কোথাও কোনো স্থান পাবে না।
ধানমন্ডিতে সশস্ত্র মহড়া, ডাকাত আতঙ্কে মসজিদে মাইকিং
রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে শংকর আলী হোসেন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১০-১২ জনের একদল ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলটি আশপাশের দোকানগুলোতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকান বন্ধ করে দেন এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যান। পাঁচ-দশ মিনিট অবস্থান করার পর সশস্ত্র দলটি রায়েরবাজারের দিকে চলে যায়। অস্ত্রধারীরা কোথাও কোনো হামলা চালায়নি বা কাউকে আঘাত করেনি।
সশস্ত্র মহড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এলাকাবাসী নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান।
এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদপুরের দিক থেকে আসা ১০-১২ জন লোক আলী হোসেন স্কুলের সামনে উপস্থিত হলে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে মাইকিং শুরু করেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দলটি চলে যায়।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে দুষ্কৃতকারীদের পরিচয় জানা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রীর ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে আনোয়ার হোসেন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে তার কাছে থাকা ২০০ ভরি সোনা এবং এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ডাকাতির ভিডিওতে দেখা যায়, বনশ্রীর ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে মোট সাতজন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে ঘিরে ধরে। ব্যবসায়ীকে একটি বাড়ির গেটের সামনের রাস্তায় ফেলে দিয়ে একজন তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
একই সময় আরেকজন তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে যাচ্ছিল। এসময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ‘মাগো মাগো’ বলে চিৎকার করছিলেন। ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়ার সময় পাশে দাঁড়ানো আরেকজন ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
ওই সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আরও জোরে জোরে ‘মাগো মাগো’ বলে চিৎকার দিতে দিতে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে কিছুটা দৌড়ে পেছনের দিকে চলে যান।
দুর্ধর্ষ ডাকাতির এ ঘটনাটি পাশে থাকা ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিডিও করছিলেন। ডাকাতরা যখন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছিল এবং গুলি ছুড়ছিল তখন ভিডিও করা লোকজনও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেসময় পাশ থেকে আরেকজন নারীর চিৎকার শোনা যায়।
পরে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ীর ব্যাগ ছিনিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত তিনটি মোটরসাইকেলে চলে যায়। এই ডাকাতির ঘটনার ৩১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
আনোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা অলংকার জুয়েলার্সের মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে বাসায় ফেরার পথে কয়েকটি মোটরসাইকেল আনোয়ার হোসেনের গতিরোধ করে এবং তার কাছে থাকা সোনা এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি বাধা দিলে আনোয়ার হোসেনকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। পরে তার কাছে থাকা প্রায় ২০০ ভরি সোনা ও নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বনশ্রী এলাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, বনশ্রী থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরে বেশ কয়েকটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের জুয়েলারির দোকান রয়েছে। তিনি দোকান বন্ধ করে একাই বাসায় ফিরছিলেন। পথে তিনটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা আনোয়ার হোসেনের পথরোধ করে। তাদের মধ্য থেকে লাল হেলমেট পরা এক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়।
ওসি বলেন, ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের দুই পায়ে দুটি ও পিঠে একটি গুলি লেগেছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তার কাছে ছিল ২০০ ভরি সোনা এবং নগদ এক লাখ টাকা। গুলির পর সোনা এবং টাকা নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনতে এরই মধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান ওসি আতাউর রহমান আকন্দ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিতে রোববার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
রোববার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে হলপাড়া থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার- জাহাঙ্গীর গদি ছাড়’, ‘দফা এক দাবি এক- জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ’, ‘শহীদের রক্ত- বৃথা যেতে পারে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ- শেষ হয়নি যুদ্ধ’ সহ নানান স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিল হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মুহসীন হল, ভিসি চত্বর ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সোমবার দুপুরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে পদত্যাগের জন্য। এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার পদত্যাগের ব্যাপারে আজ প্রথম না (প্রথম দাবি না)। তারা যে কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে বলে সেই কারণ যদি উন্নতি করে দিতে পারি তাহলে তো পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন উন্নতি হয় সেই ব্যবস্থা করছি। আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে এবং আরও উন্নতি হতে থাকবে।
সবাই যেখানে আপনার পদত্যাদের দাবি করছে সেখানে আপনি নিজে আপনার ব্যর্থতা দেখেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমি যে অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েছিলাম সেই অবস্থা থেকে সক্রিয় হয়েছে নাকি হয়নি? এটা আপনারা (সাংবাদিক) ভালো বলতে পারবেন। পুলিশ-আনসারের অবস্থা কী ছিল? ওই অবস্থা থেকে উন্নতি হয়েছে না হয়নি এটা আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
এ পর্যন্ত ডেভিল হান্টে যে সাড়ে ৮ হাজার গ্রেফতার করা হলো তারা কারা এবং সারাদেশেই যারা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা কেন ধরা পড়ছে না? ডেভিল হান্ট অপারেশন শুরুর পরও অপরাধ বেড়েই চলছে। এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে ডেভিল হান্ট অপারেশনে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে যেই পরিমাণ (সংখ্যক) গ্রেফতার করা উচিত সেই পরিমাণ হয়তো হচ্ছে না। যেমন বাসে ডাকাতির ঘটনায় সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার চলতে থাকবে।
মোটরসাইকেলে এসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মোটরসাইকেলে হেলমেট ছাড়া যেন কেউ না চলে এবং দুজনের বেশি না চলে সেজন্য আমি অলরেডি নির্দেশনা দিয়েছি।
শুধু ছিনতাই নয় যে হারে নারী ধর্ষণ বেড়েছে তাতে নারীরা উদ্বিগ্ন। অভিযোগ উঠেছে, স্বরাষ্ট্র কিংবা আইন মন্ত্রণালয় থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মা-বোনদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। তাদের ব্যাপারে আমরা সবসময় কনসার্ন (সচেতন) এবং তাদের কোনোভাবে যেন সমস্যায় পড়তে না হয় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সজাগ আছে।
শুধু ডেভিল হান্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন নাকি অন্য অপারেশনে যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চোর-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যথেষ্ট চেষ্টার পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না। সমস্যা কোথায়? আপনি নির্দেশ দেওয়ার পরও দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি কেন- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) থেকে ডেফিনেটলি ইমপ্রুভমেন্ট।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে। যেহেতু তারা দেশ থেকে প্রচুর টাকা স্থানান্তর (পাচার) করেছে, সেই টাকা তারা ব্যবহার করছে। এই টাকা ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা কোনো অবস্থায়ই এটা করতে দেবো না। যে কোনোভাবেই এটা প্রতিহত করবো।
তিনি বলেন, দিনে-রাতে যে বাহিনীর প্রয়োজন হবে তারা সেখানে যাবে এবং প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগের যারা এগুলো করছে তাদের ঘুম আমি হারাম করে দেবো। তারা কোথাও কোনো স্থান পাবে না।
সব বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, তারা টহল কার্যক্রম আরও বাড়াবে। আগামীকাল থেকে যেন কোথাও কিছু না ঘটে এ ব্যাপারে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) ব্যবস্থা নেবে। যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালোভাবে কার্যক্রম করতে না পারে তাদের বিরুদ্ধেও আমি অ্যাকশন নেবো।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন আরও উন্নতি হবে, অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদের কাউকে ছাড় দেবো না বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দখল, চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। রোববার দিনগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আর্মি দায়িত্ব নিয়েছিলো দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারও নিয়েছিলো।
কিন্তু আর্মি কি করছে!!! এই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পেয়ে কত অস্ত্র উদ্ধার করেছে?? কতজন আওয়ামী সন্ত্রাসী অ্যারেস্ট করেছে?? কতজন চাঁদাবাজ-দখলদার অ্যারেস্ট করেছে??
আর্মি সহযোগিতা করছে না, আর সব দোষ চাপানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপর!!
আর্মি প্রধান তো দায়িত্ব নিয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক করে দেয়ার, করছে না ক্যান!!!