আখাউড়ায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত, নিরাপদে নেওয়া হলো ২৮ পরিবারকে

মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে আসা পানির তোড়ে বাঁধ সংলগ্ন পিচ ঢালাই সড়কও ভেসে গেছে। এর ফলে ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আখাউড়ায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত, নিরাপদে নেওয়া হলো ২৮ পরিবারকে

প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চার ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় আটকে পড়া ২৮ পরিবারকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) ভোরে উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।

মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে আসা পানির তোড়ে বাঁধ সংলগ্ন পিচ ঢালাই সড়কও ভেসে গেছে। এর ফলে ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সীমান্তঘেঁষা মোগড়া ও আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওড়ারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নিলাখাদ, নোয়াপাড়া, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়ণপুর ও আদমপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছেন। নিচু বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে। দ্রুত ভাঙা বাঁধ মেরামত করতে না পারলে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, কালন্দি খাল দিয়ে ত্রিপুরা থেকে আসা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় ও কাস্টমস হাউজে পানে প্রবেশ করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি আমদানি-রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে আমদানি-রপ্তানি কিছুটা বিঘ্নিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ পরিবারকে উদ্ধার করে স্থানীয় আব্দুল্লাহপুর স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ৩০কেজি করে চাল ও দেড় হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের তালিকার কাজ চলছে। সেই অনুযায়ী আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করে যাব।

তিনি আরও বলেন, যে বাঁধটি ভেঙে গেছে তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের, আর যে সড়কটি ভেঙেছে তা এলজিইডির। আমি পরিদর্শনের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলী ছিলেন। পানির স্রোত কমে গেলে সেখানে সিসি বাঁধ করা হবে এবং এলজিইডি জরুরি তহবিল থেকে সড়কটি তৈরি করবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom