'অষ্টম মহাদেশ' আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা! নিখোঁজ ছিল ৩৭৫ বছর ধরে
গবেষণার বিস্তারিত টেকটোনিক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: প্রায় ৩৭৫ বছর পর ভূ-বিজ্ঞানীরা এমন একটি মহাদেশ আবিষ্কার করেছেন যা এতদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলো। Phys.org রিপোর্ট অনুসারে, ভূতাত্ত্বিক এবং সিসমোলজিস্টদের ছোট দল জিল্যান্ডিয়া বা তে রিউ-এ-মাউয়ের একটি নতুন পরিমার্জিত মানচিত্র তৈরি করেছে। গবেষকরা সমুদ্রের তল থেকে উদ্ধারকৃত ড্রেজড রক নমুনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে এটি খুঁজে পেয়েছেন। গবেষণার বিস্তারিত টেকটোনিক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জিল্যান্ডিয়া ১.৮৯ মিলিয়ন বর্গ মাইল (৪.৯ মিলিয়ন বর্গ কিমি) একটি বিশাল মহাদেশ যা মাদাগাস্কারের প্রায় ছয় গুণ। বিজ্ঞানীদের দল জানিয়েছে, এই মহাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে কম বয়সী হিসাবে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
নতুন মহাদেশটির ৯৪ শতাংশ রয়েছে পানির নিচে, নিউজিল্যান্ডের মতো মাত্র কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে এটির। ৩৭৫ বছর আগে এই মহাদেশের কথা বলেছিলেন এক ডাচ নাবিক। সেটা ছিল ১৬৪২ খ্রীষ্টাব্দ। তার পর ২০১৭ সালে ভূতত্ত্ববিদেরা জিল্যান্ডিয়া আবিষ্কার করেন। তার পর আরও ছ’বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে জিল্যান্ডিয়ার সীমারেখাও আঁকতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিল্যান্ডিয়া নিয়ে সবসময়ই অধ্যয়ন করা কঠিন ছিল। বিজ্ঞানীরা এখন সমুদ্রের তলদেশ থেকে আনা পাথর এবং পলির নমুনার সংগ্রহ অধ্যয়ন করছেন, যার বেশিরভাগই ড্রিলিং সাইট থেকে এসেছে। Phys.org রিপোর্ট করেছে, শিলা নমুনাগুলির গবেষণায় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার ভূতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি পাওয়া গেছে যা নিউজিল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে ক্যাম্পবেল মালভূমির কাছে একটি সাবডাকশন জোনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। নতুন পরিমার্জিত মানচিত্রটি শুধুমাত্র জিল্যান্ডিয়া মহাদেশের ম্যাগম্যাটিক আর্ক অক্ষের অবস্থানই নয়, অন্যান্য প্রধান ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যও দেখায়। জিল্যান্ডিয়া মূলত গন্ডোয়ানার প্রাচীন মহাদেশের অংশ ছিল, যা প্রায় ৫৫০মিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছিল এবং মূলত দক্ষিণ গোলার্ধের সমস্ত ভূমিকে একত্রিত করেছিল। সূত্র : এনডিটিভি