‘অবিলম্বে আওয়ামী সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে’
শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ শাহাজাহান ওমর বীরউত্তম
প্রথম নিউজ, খুলনা: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ শাহাজান ওমর বীরউত্তম বলেছেন, একপ্রকারের মানুষ আছে, যারা অন্য মানুষ ধরে ধরে খায়; সেকারণে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি দেশকে ভিসা দেয়া বন্ধ করেছিল বহু আগেই- তারমধ্যে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা, নাইজেরিয়া, কঙ্গোও সোমালিয়া। কারণ ওরা মানুষ খায়। আমাদের দেশে বর্তমানে আমেরিকা ভিসা দেবে না বলে সতর্কতা জারি করেছে। তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কি খায়? পেঁয়াজ খাইলো, রসুন খাইলো, আদা খাইলো, সয়াবিন খাইলো, তেল খাইলো, টেন্ডার খাইলো, ভোট খাইলো, ব্যবসা খাইলো, মানুষ খাইলো, সব খাইলো-তবুও ওদের ক্ষুধা মিটলো না। এই ক্ষুধা নিবারণ করতে অবিলম্বে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিদায় দিতে হবে। ওদের হাতে রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (০১ জুন) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি’র যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক মন্ত্রী শাহাজান ওমর আরও বলেন, এখন যার টাকা যতো বেশি, নৌকা তার। নৌকা প্রতীক এবার পেলে বিনাভোটে এমপি। যাদের নূন্যতম আত্মসম্মানবোধ আছে তারা দিনের ভোট রাতে করে জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি হতে পারেন না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওদের তো লজ্জা নাই-ইনশআল্লাহ্ ডিসেম্বর মাসে আন্দোলনের মাধ্যমে বিনাভোটের সরকারকে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে।
বক্তৃতার শুরুতেই মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এঁর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করেন শহীদ জিয়ার অন্যতম সহচর রণাঙ্গণের বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাজান ওমর।
তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। গ্রামে গ্রামে যেয়ে যেখানে যা প্রয়োজন, সেখানে তাই দিয়েছেন- দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার ১৯দফা বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে স্বনির্ভর হতো। বক্তার শেষপর্যায়ে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালেও সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত জিয়াউর রহমানের সৎ, নিরলস পরিশ্রমী কর্মঠ ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, সারাদেশে লোডশেডিং এখন উন্নয়ন নামক বিজ্ঞাপন বিরতি দিচ্ছে। সারাবছর রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে উন্নয়নের বিজ্ঞাপন দিয়ে যেয়ে সরকার, অথচ বাংলাদেশ আজ দেওলিয়াত্বের মুখে। তাই দেশ বাঁচাতে রাজপথে নামতে হবে। যেখানেই মুজিব কোট, সেখানেই প্রতিরোধ। নির্দলীয় সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, সদস্য মোঃ মুজিবর রহমান ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান। সম্মানিত আলোচক হিসেবে শহীদ জিয়ার বর্ণাঢ্য কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনের উপর বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক এড. গাজী আব্দুল বারী, নগর মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আক্তার জাহান রুকু ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ খুলনার সদস্য সচিব ও বিএমএ খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ সেখ মোঃ আক্তারুজ্জামান।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ তরিকুল ইসলাম জহীর, জেলার শেখ আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এড. নূরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মোঃ রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, আশরাফুল আলম নান্নু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, শামসুল আলম পিন্টু ও এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, এড. মোমরেজুল ইসলাম, ডাঃ আবদুল মজিদ, আব্দুর রাজ্জাক, খায়রুল ইসলাম খান জনি, সাহিনুল ইসলাম পাখী, অসিত কুমার সাহা, মুর্শিদ কামাল, সুলতান মাহমুদ, কেএম হুমায়ুন কবির, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মনিরুজ্জামান লেলিন, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, কাজী মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ বুলবুল, আরিফুর রহমান, শেখ জামাল উদ্দিন, মোঃ ইকবাল শরীফ, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, খন্দকার ফারুক হোসেন, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, গাজী আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আব্দুস সালাম, সাইদুজ্জামান খান, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, মল্লিক আবদুস সালাম, মোঃ তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিল্টন, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, শামসুল বারিক পান্না, মোল্লা সাইফুর রহমান, এনামুল হক, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন, বিকাশ মিত্র, জাবেদ মল্লিক, শফিকুল ইসলাম শফি, মোঃ আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মোঃ মুজিবর রহমান, এমদাদ হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহীন, শ্রমিকদলের উজ্জল কুমার সাহা ও খান ইসমাইল হোসেন, যুবদলের আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, মোঃ জাবির আলী, নেহিবুল হাসান নেইম, আব্দুল আজিজ সুমন, কৃষকদলের মোল্লা কবির হোসেন ও শেখ আবু সাঈদ, মহিলা দলের এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, সেতারা সুলতানা, শাহানাজ ইসলাম, জাসাস’র মোঃ শহিদুল ইসলাম ও আজাদ আমিন, ছাত্রদলের ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস ও গোলাম মোস্তফা তুহিন প্রমুখ।