অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলছাত্রী উদ্ধার, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৮
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বসতঘর থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ
প্রথম নিউজ, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বসতঘর থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মূলত জোর করে বিয়ে করতে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে কবিরহাট থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বিজয়া সেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মূল আসামি মো. সুমন (৪০), হাছান (২০), আলাউদ্দিন ওরফে ইমন (২৫), মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (২৮) এবং সন্ধিগ্ধ আব্দুর রহিম (২০), মো. সাগর (২৮), গাড়িচালক মো. ইয়াছিন আরাফাত ওরফে সাকিব (২৩) ও হেলপার সাবের হোসেন ওরফে সাব্বির (২১)।
অপহৃত কিশোরী কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে তার মায়ের সাথে যাদবপুর গ্রামে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বিজয়া সেন বলেন, প্রধান আসামি সুমন স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে এমন অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ঘরে ঢুকে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এজহার দায়েরের ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা যাওয়ার পথে দাউদকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আমরা এই ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটি স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সুমন উত্যক্ত করত। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করছিল সে। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সুমন তার বোনদের সহযোগিতায় এই অপহরণ করে। আমরা প্রধান আসামি সুমনসহ সবাইকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করব। আদালতে ভুক্তভোগী মেয়ের জবানবন্দি নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।