হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে খুন, ৩ যুবক গ্রেফতার

 হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে খুন, ৩ যুবক গ্রেফতার

প্রথম নিউজ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের পেকুয়ায় হত্যা মামলার আসামি আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে হত্যা ও পা কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলার মগনামার আফজলিয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ কার‌্যালয়ে অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন- কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামার আফজলিয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ (২৮), একই এলাকার মৃত নুরুন্নবীর দুই ছেলে আমিরুজ্জামান (২৮) ও জামিল ইব্রাহিম ছোটন (২৫)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে পেকুয়ার মগনামার আফজলিয়াপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে হত্যার পর একটি পা কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের স্ত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হন। পরে ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে এজাহানামীয় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেন। এরপরই র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারে ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর দিনগত রাতে পেকুয়ার মগনামায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি ও প্রধান পরিকল্পনাকারী মুজাহিদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ঘটনার তিনদিন আগে তারা নিজেদের মধ্যে গোপন সভা করে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টায় আবু ছৈয়দের শ্বশুরবাড়িতে তারা হানা দেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবু ছৈয়দকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে আবু ছৈয়দ খাটের নিচে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে হাত-পা চেপে ধরে কোপানোর পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যান। এ সময় আবু ছৈয়দের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যান তারা। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান আবু ছৈয়দ।