সোয়া ১ ঘণ্টায় টিকিট বিক্রি হলো প্রায় ২২ হাজার!
দুই দিনের টিকেট একযোগে কাউন্টার ও অনলাইন থেকে পাওয়া যাবে
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : রাত পৌনে ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সোয়া ১ ঘণ্টায় সারাদেশে প্রায় ২২ হাজার টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রোববার রাত ১০টা ২০ মিনিটে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহায়ক প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ।
এর আগে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ২ ও ৪ মে’র টিকিট বিক্রির কথা জানিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার ঈদ নিশ্চিতের পর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আফসার উদ্দিন জানিয়েছিলেন, এ দুই দিনের টিকেট একযোগে কাউন্টার ও অনলাইন থেকে পাওয়া যাবে।
এর পর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীরা কাউন্টারে ভিড় করছেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়ে খুশি মনে বাসায় ফিরছেন তারা।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি অনেকটাই কম। সরকারি ছুটির পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মহাসড়কগুলোতে যানজটের তীব্রতা ছিল না।
বেশিরভাগ ট্রেনই সময়মতো প্ল্যাটফর্ম ছেড়েছে। শনিবার ২-৪টা ট্রেন সামান্য বিলম্বে চললেও ৯৮ শতাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে চলাচল করছে। এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে।
গতকাল ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে কমলাপুর থেকে প্রায় সব কটি ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রী ঠাসা ছিল। আসনসংখ্যার বিপরীতে ২০ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট কেটে যাত্রীদের ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। কিছু ট্রেন বিলম্বে চলায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়নি। যাত্রীরাই বলছিলেন, প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুটা সময় নিয়েছে। বিষয়টিকে স্বাভাবিক দেখছেন যাত্রীরা।
ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, ‘এবারের ঈদযাত্রার চিত্রটা ভিন্ন। আমরা প্রায় ৮৯ শতাংশ ট্রেন যথাসময়ে ছাড়তে পারছি। তা ছাড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে শুধুমাত্র যাত্রার দিন আন্তঃনগর ট্রেনে ২০ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি করছি। যাত্রীরা অনেক সচেতন হয়েছেন। প্রায় সবাই টিকিট কেটে ট্রেন ভ্রমণ করছেন। প্রতিটি ট্রেনে যাত্রী ঠাসাঠাসি হলেও নিজেরা (যাত্রী) বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছের। এমনও যাত্রী রয়েছেন, দু’সিটে ভাগাভাগি করে তিন যাত্রী যাচ্ছেন। আমরা অতিরিক্ত বগি লাগিয়েছি। একই সঙ্গে বিভিন্ন সেকশনে অতিরিক্ত ইঞ্জিন, উদ্ধারকারী গাড়ি প্রস্তুত রেখেছি। একসময় ট্রেনের ছাদ এবং ইঞ্জিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা চলতেন, এখন তা খুব একটা দেখা যায় না।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews