সাবেক এমপি আউয়ালের নেতৃত্বে প্রগতিশীল ইসলামি জোটের আত্মপ্রকাশ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা করেন প্রগতিশীল ইসলামি জোটের সমন্বয়কারী ও ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে নতুন এক সরকাপন্থি জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রগতিশীল, ইসলামি এবং সমমনা ১৫টি রাজনৈতিক দল নিয়ে জোটটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রগতিশীল ইসলামি জোট’। সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত এ জোটটি আগামী নির্বাচনে সবগুলো আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য কাজ করবে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা করেন প্রগতিশীল ইসলামি জোটের সমন্বয়কারী ও ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান।
জোটে যোগ দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে- ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টি; নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ; বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ; বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট; বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি; বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ; বাংলাদেশ জনমত পার্টি; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বি এন জে পি); ইসলামিক লিবারেল পার্টি; জনতার কথা বলে; বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি; বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি; সাধারণ ঐক্য আন্দোলন; বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।
জোটের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, সারা দেশে আমাদের জোটের সাংগঠনিক তৎপরতা রয়েছে সব দলেরই। আমরা ইতোমধ্যেই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন এলে জোট হয় আপনার এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে চাই- আপনি আমাদের বক্তব্যের মধ্যে খেয়াল করবেন আমরা এ প্রগতিশীল ইসলামি জোট গঠন করার পূর্বে আমরা প্রায় দেড় বছর ধরে সমমনা ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ঘোষণা করেছি।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ ব্যবস্থা কিন্তু এখন সংবিধানে নেই। সংবিধানে যে জিনিসটা নেই, সেটার অধীনে কীভাবে আবার নির্বাচন হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমরা মনে করি, দেশের সংবিধানের মালিক দেশের জনগণ। সংবিধানই মানুষকে প্রোটেকশন দিচ্ছে। এ সংবিধানের আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামি জোট অংশগ্রহণ করবে।
সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি- নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে আইন আছে, সেটি যদি তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করে তাহলে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না, তারা তো স্বাধীন। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা প্রয়োগ করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো কোনো দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্বে নির্বাচন বর্জন যেখানে বিরল, সেখানে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করারই নামান্তর। বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে— একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু দেশের সচেতন জনগণ ক্রমান্বয়ে এ সাধে বাঁধ দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।