সাগর উত্তাল, জোয়ারে ভেসে গেছে ৫০০ একর চিংড়ি ঘের
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আঁচড়ে পড়ছে পানি।
প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে সমুদ্রের পানি উচ্চতায়। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে ৫০০ একরেরও বেশি চিংড়ি ঘেরের বেরি বাঁধ ভেঙে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আঁচড়ে পড়ছে পানি। ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঝাউগাছ উপড়ে পড়ছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে ভাঙন দেখা গেছে।
সৈকতে অবস্থিত ট্যুরিস্ট পুলিশের টাওয়ার বক্সের কাছাকাছি চলে আসছে পানি। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সতর্কতার সাথে গোসল করতে বলা হয়েছে। পর্যটকদের গভীর পানিতে গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে পর্যটকদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে লাইফ গার্ড কর্মীরা।
আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-তিন ফুটের অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।