সিইসি নুরুল হুদার বিচার হবে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, আজকে প্রতিটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তারা এই সরকার থেকে মুক্তি চায়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া ও দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার অবশ্যই বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া এর জন্য তো তার বিচার হতে হবে। তাকে কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড়াতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলো ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে, বিনা পয়সায় সার দিবে এবং ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। দেশের মানুষও ভেবেছিল একটা পরিবর্তন আসবে। তাই সেদিন কিছু মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন। কিছুদিন পর তারা টের পেলেন একেবারে ভাঁওতাবাজি প্রত্যারণা।
তিনি বলেন, সরকার চাল ডাল লবণের দাম বাড়াচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। কিন্তু তার আগে আমার প্রশ্ন, সরকারকে জবাব দিতে হবে, কেন চালের দাম বাড়ছে, তেলের দাম বাড়ছে কেন। কারণটা কি? কারণ তোমাদের চুরি তোমাদের প্রতি ক্ষেত্রে দুর্নীতি। তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্নীতির সঙ্গে রাষ্ট্রের সমস্ত অঙ্গগুলোকে জড়িয়ে ফেলেছে। কোন খাত নেই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। আজকে বিচার বিভাগকে তারা ধ্বংস করেছে। প্রশাসনেকে ধ্বংস করেছে। আজকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, আজকে প্রতিটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তারা এই সরকার থেকে মুক্তি চায়। আওয়ামী লীগ একুশের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য ছিলো তা ধ্বংস করে দিয়েছে। কথাটি তথ্যমন্ত্রীর গায়ে খুব লেগেছে, তিনি বলেছেন এটা নাকি আমরা করেছি, তারা করেনি।
এখন আর জবাবদিহিতা নেই মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ওয়াসা পানির দাম বাড়াচ্ছে। তারা বলছে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। খরচা কিসে বেড়েছে? ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে বেতন দিচ্ছো ৬ লক্ষ টাকা করে। আর চুরির শেষ নেই। পকেট কাটছে জনগণের। আজকে গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। বলছে কুলাচ্ছে না। বিদুৎতের দাম বাড়াচ্ছে কুইকরেন্টার পাওয়ার প্ল্যান্ট করে এমনভাবে চুরি করছে যে এখন সেই বিদুৎ এর দাম বছরে তিন চারবার করে বাড়ছে।
সার্চ কমিটি গঠন করে জনগণকে বোকা বানানো হচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। কিছু নাই এর মধ্যে। এখন তারা আবারও নির্বাচিত হবার জন্যে তারা তাদের মত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশন গঠন করার জন্য তারা আবার একটা সার্চ কমিটি তৈরি করেছে একটা আইনও তৈরি করেছে। সব কিছু হচ্ছে জনগণকে বোকা বানানোর জন্য।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি যাদের দিয়ে করেছে সব তাদের লোক। আজকে তারা নামগুলো পাঠাবে প্রেসিডেন্টের কাছে যাদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। দেখা যাবে যে সেই হুদার মত লোক হবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনের বিচারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তার বিচার করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তো তার বিচার হতে হবে। তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে কিছু করার উপায় নেই। আমি কৃষক দলকে বলবো, তাদের অসাধারণ ক্ষমতা। আজকে কৃষকদের যদি সংগঠিত করা যায় তাহলে এই দুঃশাসন এর অবসান ঘটাতে পারবো। প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: