শনিবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ

শনিবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শনিবার (১১ মে) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখাকে ১৮ শর্তে এ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ।

শুক্রবার (১০ মে) দলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ১১ মে (শনিবার) দুপুর আড়াইটায় মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে এ সমাবেশ হবে।


৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তরর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শেখকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফ।

চিঠিতে বলা হয়, ৮ মে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলো।


(১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
(৩) অনুমোদিত স্থানেই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
(৪) নিরাপত্তায় জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
(৫) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(৬) শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক ব্যবহার করতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
(৭) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
(৮) আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
(৯) ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আনতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেওয়া বা প্রচার করা যাবে না।
(১০) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতিত মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
(১১) কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
(১২) পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিতস্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোন গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
(১৩) রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
(১৪) উষ্মনীমূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
(১৫) আইনশৃঙ্গলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
(১৬) আইনশৃংখলার অবনতি ও কোনো বিরুপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
(১৭) উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযদভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
(১৮) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।