রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর সমর্থন চায়

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর সমর্থন চায়

প্রথম নিউজ, অনলাইন: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের নিজ নিজ বাসস্থানে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জোরালো সমর্থন চেয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও তাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে। মুখ্য সচিব বলেন, এই সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একীভূত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তোফাজ্জেল হোসেন বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরিতে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দূত ও প্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন। ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং অন্যান্য দাতা সংস্থার বরাদ্দ হ্রাসের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং সহায়তার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আল হামাউদি, কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী আল-কাহতানি, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলী আহমেদ ইব্রাহিম আল-ধুফাইরি, ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার আল-বুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস. ওয়াই. রমাদান, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ এ. আর. খালাফ আল-দাররাজি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি জোহানেস ফন ডের ক্লাউ এবং বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পপ্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।