রামমন্দির উদ্বোধনের দিন বাবরি মসজিদ নিয়ে স্মৃতিচারণ মমতার
সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতায় সংহতি মিছিলের আয়োজন করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বহু বিতর্কের পর অবশেষে ভারতের অযোধ্যায় ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা যাননি। এই তালিকায় ছিলেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবসহ আরও অনেকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রামমন্দির উদ্বোধনে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; কিন্তু কয়েক দিন আগেই মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অযোধ্যা যাচ্ছেন না। এমনকি রামমন্দির উদ্বোধনকে ‘ভোটের আগে গিমিক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতায় সংহতি মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিল শেষে পার্ক সার্কাস ময়দান সভায় বক্তব্য দেন মমতা।
এ সময় অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ভোটের নামে দেশটাকে বিক্রি করছে কিছু লোক। ভোটের আগে ধর্মে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাকেই এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। একটা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এ লড়াই চলবে। আমরা কাপুরুষ নই। তাই আমরা লড়ব।
তিনি বলেন, যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম- কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকেই ভুলে গিয়েছেন। ‘জয় বাংলা, জয় সম্প্রীতি। সব ধর্ম ভাই ভাই। দেশকে ভাগ করতে দেব না। আমরা শান্তি চাই’- বলেন মমতা।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাফ ছুটির সমালোচনা করে মমতা বললেন, নেতাজীর জন্মদিনে তাদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম। দেয়নি। আর আজ তারা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ আমি দিয়েছি, অথচ বৈঠকে সম্মান পাই না। সিপিএম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে। আমি সেটা মানব না।