রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, যাত্রীদের ভোগান্তি

এদিকে বড় দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, যাত্রীদের ভোগান্তি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীতে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ কেন্দ্র করে গণপরিবহণের সংকট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গণপরিবহণের জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তার মধ্যে জায়গায় জায়গায় পুলিশের তল্লাশিও স্বাভাবিক চলা ফেরায় বাধা সৃষ্টি করছে। 
শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়। সাধারণ মানুষ রয়েছেন ভীতির পরিবেশের মধ্যে। পুরান ঢাকা থেকে ফার্মগেট আসা কর্মজীবী কমল দেব জানান, কোনও গণপরিবহন পাননি। দু’একটা পেলেও সেগুলো যাত্রীতে ঠাঁসা ছিল। শেখ আহমদ নামে একজন বলেন, একটি ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছি আমরা। সমাবেশ পাল্টা সমাবেশের আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কেবল ভোগান্তিই নিয়ে আসে। 
এদিকে বড় দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশি চৌকি। 
বাড্ডা থেকে বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা গন্তব্যে যেতে পারছেন না। সেখান থেকে কাজী সুমন  নামের একজন বলছিলেন, তিনি বাড্ডার হোসেন মার্কেট থেকে মালিবাগ যাবেন। গাড়ি না পেয়ে রিকশা নেন। কিন্তু রিকশার ভাড়া চাওয়া  হচ্ছে ডাবল। একই অবস্থা দেখা গেছে মালিবাগ, রামপুরা, মেরুল, লিংক রোড, খিলগাঁও, কাওরান বাজার, শাহবাগ, মহাখালী এলাকায়। অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। মিরপুর ১০, ২, ১ এলাকায় গাড়ির সংখ্যা অন্যদিনের চেয়ে কম দেখা গেছে। তবে সিএনজির সংখ্যা বেশি। কিন্তু ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।
 খিলগাঁও থেকে কাওরান বাজারের আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হোসেন আলী বলেন, অন্যদিন বাসে আসি। কিন্তু আজ কোনও বাস পাচ্ছিলাম না। দু একটা পেলেও সেগুলো অন্য রুটের। বাধ্য হয়ে রিকশায় এলাম। কিন্তু ভাড়া অনেক বেশি দিতে হয়েছে।  মহাখালী এলাকায়ও বাসের সংখ্যাও কম বলে জানিয়েছেন কয়েকজন। অনেকেই গন্তব্যে যাচ্ছেন রিকশায়, পায়ে হেঁটে। 
এদিকে গণপরিবহন চালকরা জানান, মূলত নাশকতার শঙ্কা থেকেই সড়কে গণপরিবহন নিয়ে বের হচ্ছেন না তারা। অধিকাংশ বাসচালক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভাড়া নিয়ে আসছেন। অল্প কিছু গণপরিবহন চললেও যাত্রী আছে ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ। মূলত নাশকতার শঙ্কা থেকেই বাস চলাচল সীমিত।