যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক কারাগারে
রাজধানীর মৌচাক ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় কাজী জামাল উদ্দিন আহম্মেদ নামে এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর মৌচাক ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় কাজী জামাল উদ্দিন আহম্মেদ নামে এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিরা আরা। এর আগে গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম শফিক আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের কাছে করা তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, গ্রেফতারের পর আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। এছাড়াও তদন্তে জানা যায়, আসামির স্বভাবচরিত্র ভালো না। সে বিকৃত মনের অধিকারী। কোচিং সেন্টার দিয়ে সরলমনা অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শ্লীলতাহানি করে আসছিল। জামিনের বিরোধিতা করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একজন কলার ঢাকার মৌচাক মার্কেট এলাকা থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জানান, তার এগার বছর বয়সী মেয়ে মৌচাক মার্কেটের কাছে ‘ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টার’ নামে একটি আবাসিক কোচিংয়ের শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে তার মেয়েকে তিনি সেখানে ভর্তি করান। কয়েকদিন আগে মেয়েটি আবাসিক ওই কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরে। তবে এরপর আর সে কোচিং সেন্টারে যেতে চায় না। কোচিংয়ের কথা বললেই সে কান্নাকাটি করে। পরে মেয়েটি তার মাকে যৌন হয়রানির কথা জানায়। এরপর ওই অভিভাবক আরও কয়েকজন অভিভাবকসহ শনিবার বিকেলে মৌচাক কোচিং সেন্টারে অবস্থান করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনি সহায়তা চান। পরে রমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বাবা মামলা করেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: