মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা হলে প্রতিশোধ নেবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা হলে প্রতিশোধ নেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা হলে প্রতিশোধ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এমন কথাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে।

আর এই সংঘাত শুরুর পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সৈন্যদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ইরাকি ঘাঁটিতে ড্রোন এবং রকেট হামলার চেষ্টা হয়েছে। মূলত এসব হামলার দিকে ইঙ্গিত করেই ব্লিংকেন ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোববার বলেছেন- ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে ওয়াশিংটন প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। এছাড়া চলমান এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে।

এনবিসি-র মিট দ্য প্রেসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি হিজবুল্লাহ বা হামাসের মতো ইরানি মিত্রদের কাছ থেকে চলমান সংঘাত আরও ‘বৃদ্ধির আশঙ্কার’ কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি এবং মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করতে ‘সকল ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে’ যুক্তরাষ্ট্র।

ব্লিংকেন বলেন, গাজায় চলমান সংঘাতের জের ধরে আমেরিকান সৈন্যরা যদি শত্রুতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তবে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কার্যকরভাবে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে এবং প্রয়োজনে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি। তিনি বলেন, দুটি বিমানবাহী রণতরীসহ মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন শীর্ষ এই কূটনীতিক আরও বলেন, ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সাথে তার যে আলোচনা হয়েছে সেটি অনুসারে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকা শাসন করতে চায় না। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধের পরে আগের মতো স্থিতাবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব নয়।

ব্লিংকেন দাবি করেন, ‘ইসরায়েল এমন কোনও অবস্থানে থাকতে পারবে যেখানে তারা গাজা ভূখণ্ড থেকে ক্রমাগত সবচেয়ে ভয়ানক হামলার হুমকির সম্মুখীন হবে। সুতরাং এমন কিছু খুঁজে পাওয়া দরকার, যা নিশ্চিত করবে যে, হামাস আবার এমন হামলা করতে পারবে না। তবে ইসরায়েল গাজা শাসনের দিকে যেতে চায় না। তারা নিজেরাই এটা চায় না।’

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করে চলেছে। এছাড়া গাজায় স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে গত শনিবার থেকে সেখানে আক্রমণ আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। অবশ্য প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণ শেষ হওয়ার পর সেখানে ইসরায়েলের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা বর্তমানে স্পষ্ট নয়।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার ইসরায়েল ও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। এছাড়া রোববার পোপ ফ্রান্সিসের সাথেও কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।