ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় গেইমারের আঘাতে তছনছ হতে পারে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল

দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভয়াবহ একটি ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় গেইমারের আঘাতে তছনছ হতে পারে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে তছনছ হতে পারে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভয়াবহ একটি ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় গেইমার। এতে দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটির বিমান কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার হতে পারে যা ভয়াবহ ক্ষতি সাধনে সক্ষম ৪টি হ্যারিকেনের সমতুল্য। এই ঘূর্ণিঝড় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দ্বীপগুলো। সেখানে কিনমেন দ্বীপপুঞ্জ ব্যতীত সকল দ্বীপের বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড়টি রাজধানী তাইপে হয়ে তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করবে। বৃহস্পতিবার তাইওয়ান প্রণালি হয়ে চীনের পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়ান উপকূলে আঘাত হানবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে বয়ে আসা জলীয় বাষ্প দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারে। যার ফলে দেশটির কৃষিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশটিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপটিতে এক মিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

এ বছর শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে তাইওয়ান। এরমধ্যে যদি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে তাহলে দেশটির পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে বলে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন। ইতোমধ্যেই তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং সেখান দিয়ে মাঝারি ধরনের ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। আগাম সতর্ক বার্তার ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সুপার শপগুলোতে ক্রেতাদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়। কেননা ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়তে পারে বলে ধারণা ক্রেতাদের। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ফিলিপাইনের রাজধানীসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাতেও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে ক্লাস ও বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

তবে স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে তাইওয়ানের বৃহৎ চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলেছেন ঘূর্ণিঝড়ে তাদের উৎপাদনে কোনোরকম ব্যাঘাত ঘটবে না।