বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের সব নৌযান বন্ধ
নদী পারাপার হতে না দেয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মনে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের সব ধরনের নৌযান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষের নদী পারাপারের সহজলভ্য উপায় নৌকাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। নদী পারাপার হতে না দেয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মনে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।
তেলঘাট দিয়ে নদী পার হতে আসা কাশেম বলেন, আমি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করি। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়েই যাতায়াত করি। ঘাটে এসে শুনছি আজ খেয়া পারাপার বন্ধ রয়েছে। ঘাটের মাঝিদের অনেক অনুরোধ করার পরও নেতাদের ভয়ে তারা যেতে চাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় তেলঘাটের মাঝি রাজ্জাক হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, খেয়া ঘাটে নৌকা চালিয়েই সংসার চালাতে হয়। কিন্তু, নেতারা আজ নদীতে খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে কোন নেতা নির্দেশ দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি ভয়ে উত্তর দেননি। রাজ্জাক মাঝি আরও বলেন, সপ্তাহে ২০০০ টাকার কিস্তি দিতে হয়। কাল কিস্তি দেয়ার শেষ দিন। কিন্তু কিস্তির টাকা এহনো সবটা মিলাইতে পারি নাই। ভাবছিলাম যতটুকু শট আজ কামাই করে পূরণ হবে। কিন্তু গরীবের কপাল!
বুড়িগঙ্গা নদীতে খোলা মোড়া থেকে কালুগঞ্জ তেলঘাট পর্যন্ত ২০/২৫টা ঘাট রয়েছে। এসব ঘাটে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি নৌকা যাত্রীদের পারাপার করে। এছাড়া সদরঘাটে চার পাঁচটি পারাপারের জন্য ওয়াটার বাস চলে। সেগুলোও আজ বন্ধ রয়েছে। মাদবাজার টু সদরঘাটপর ট্রলারও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ঘাটে বেশকিছু পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।