বার কাউন্সিল ভবন তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে শত কোটি টাকার বেশি: ব্যারিস্টার খোকন
সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিএনপিপন্থি নির্বাচিত সদস্যদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণে শত কোটি টাকার ওপরে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিএনপিপন্থি নির্বাচিত সদস্যদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন। তিনি বলেন, ১৩৯ কোটি টাকার বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সর্বসাকুল্যে মোট খরচ হওয়ার কথা ১৫ কোটি টাকার মতো। সেখানে বাকি শত কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে।
গত শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবনির্মিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
ভবনটিতে রয়েছে অফিস স্পেস, মিটিং রুম, ২টি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, কাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, এক্সিবিশন স্পেস, রিসিপশন, রেজিস্ট্রেশন রুম, ব্যাংক, অ্যাকাউন্টস সেকশন, আইটি সেকশন ইত্যাদি।
আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কক্ষ, ৫টি ট্রাইব্যুনাল কক্ষ, সুপরিসর মাল্টিপারপাস হল, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজ কক্ষ রয়েছে।
এছাড়া, টিভি লাউঞ্জ, কিচেন ও ডাইনিং হলসহ শতাধিক আইনজীবীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবনটিতে ৪টি লিফট, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং পুরুষ-নারী-প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে।
এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সাবস্টেশন ও জেনারেটরের মাধ্যমে পৃথক বৈদ্যুতিক লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে। ৮৩৬ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবনের মোট আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৩৭ বর্গমিটার। সীমানা প্রাচীর ছিল ১৯৩ দশমিক ৬০ বর্গমিটার। ১০০০ কেভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মিত হয়েছে একটি। পুরো ভবন জুড়ে আছে তিনটি লিফট।