বেরোবি ভিসি অবরুদ্ধ, বাসভবন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
প্রায় প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে ভিসিকে উদ্ধার করে।
প্রথম নিউজ, রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পরে পুলিশ এসে ভিসিকে উদ্ধার করে। সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে উত্তাল রয়েছে বেরোবি ক্যাম্পাস। এই ঘটনা জানাজানি হলে পুরো ক্যাম্পাস দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। পরে তারা ভিসির বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভিসির গাড়ি, প্রোভিসির গাড়ি, পুলিশের কাভার্ডভ্যানসহ পাচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে ভিসিকে উদ্ধার করে।
পেছনের দেয়াল টপকে পালালেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীরা
এদিকে শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনার পর বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীমসহ রংপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভয়ে ক্যাম্পাসের দেয়াল পেছনের দেয়াল টপকে পালিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কাউকে ক্যাম্পাস কিংবা হলে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
সরজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হলে ব্যাপক হামলা চালায়। বঙ্গবন্ধু হলে পার্কিং করা বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের গাড়ি সহ নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করেছে। প্রায় পাচ ঘন্টা হলে বিদ্যুৎ ছিলো না। হলে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা আন্দোলনকারীরা রংপুর শহর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটে অবস্থান নিলে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল রাবার বুলেট ছুড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আহত সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।