ব্যাট হাতে আলোকিত পাক ওপেনার আবদুল্লাহ

৩৪২ রান তাড়া করে গলে জয় পেলো পাকিস্তান। তাদের টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।

ব্যাট হাতে আলোকিত পাক ওপেনার আবদুল্লাহ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: গলে ইতিহাস রচনা করে জয় পেলো পাকিস্তান। আর ব্যাট হাতে আলোকিত পাক ওপেনার আবদুল্লাহ।  ৩৪২ রান তাড়া করে গলে জয় পেলো পাকিস্তান। তাদের টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে যেকোনো দলেরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। দুই তালিকারই শীর্ষে একটি ম্যাচ। ২০১৫ সালে পাল্লেকেলে টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭৭ রানের টার্গেটে জয় কুড়ায় পাকিস্তান। ১ গল মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। এখানে এমন আগর ঘটনায় ২০১৯ সালে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৮ রান তাড়া করে জয় দেখেছিল শ্রীলঙ্কা। আর সফরকারী দলের জন্য রেকর্ডটি ছিল অনেক দূরের। এখানে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৬৪ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের। ৫২৪ মিনিট ব্যাট করেছেন আবদুল্লাহ শফিক যা টেস্টে রান তাড়া করে জয় পাওয়া ম্যাচে সবচেয়ে দীর্ঘ ইনিংস।

আগের রেকর্ডটি দুই যুগের পুরনো। ১৯৯৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার না মানা ১৪৩ রানের ইনিংসে লঙ্কান ব্যাটার অরবিন্দ ডি সিলভার ক্রিজে কাটান ৪৬০ মিনিট। ব্যাটিং মিনিট ডাটা সংরক্ষণের পর থেকে টেস্ট ইতিহাসে শফিকেরটি তৃতীয় দীর্ঘতম ইনিংস। ৪০৮ বল খেলেছেন আবদুল্লাহ শফিক। বল ফেসড ডাটা সংরক্ষণ করার পর থেকে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে পঞ্চম সর্বাধিক বল মোকাবিলার রেকর্ড এটি। আর জয় পাওয়া ম্যাচে দ্বিতীয়। এমন শীর্ষ রেকর্ডটি শতবর্ষের পুরানো। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৪৬২ বল মোকাবিলা করেন  ইংলিশ লিজেন্ড হার্বাট সাটক্লিফ।  

৩ আবদুল্লাহ শফিকের ১৬০ রান এশিয়ার মাটিতে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে জয় পাওয়া ম্যাচে তৃতীয় সর্বাচ্চ ব্যক্তিগত। এমন শীর্ষ রেকর্ডটিতে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে। গতবছর চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের পথে চতুর্থ ইনিংসে হার না মানা ২১০ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০১৫ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের ইউনুস খানের ১৭১*।
১৬০ গলে শফিকের ১৬০ রান টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর আজম। আর পূর্বোক্ত ইউনুস খানের ১৭১* রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। 
২ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সফল রান তাড়ায় ওপেনারদের মধ্যে আবদুল্লাহর ১৬০ রানের চেয়ে বড় স্কোর রয়েছে মাত্রই দুটি। ১৯৮৪ সালে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৪ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় লিজেন্ড গর্ডন গ্রিনিজ। অন্যটি প্রাচীন ঘটনা। ১৯৪৮ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ১৮০ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান লিজেন আর্থার মরিস। 
৭২০ রান সংগ্রহ আবদুল্লাহ শফিকের ৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে। ক্যারিয়ারে শুরুর ৬ টেস্টে এর চেয়ে বেশি রানের কীর্তি রয়েছে মাত্র তিন জনের: সুনীল গাভাস্কার (ভারত) ৯১২, ডন ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া) ৮৬২ ও জর্জ হেডলি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ৭৩০।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom