ব্যাটিংয়ের ক্ষত সারাতে বোলিংয়ে প্রলেপ দিচ্ছে বাংলাদেশ
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ঘাঁ হয়েছে ব্যাটিংয়ে, প্রলেপ দেয়া হচ্ছে বোলিংয়ে- বাংলাদেশ দলের অবস্থা এখন যেন এমনই। সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু ব্যাটিংয়ে, টপ অর্ডারের অবস্থা চরম খারাপ। একজনের বদলে আরেকজন, তার বদলে অন্যজনকে নামিয়েও লাভ হচ্ছে না। শুরুর পরপরই বালির বাঁধের মত ভেঙে যাচ্ছে ব্যাটিং লাইনআপ। সেই বিশ্বকাপে লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও নাইম শেখ ব্যর্থ হওয়ার পর প্রথমে সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তকে নেয়া হলো পাকিস্তানের সঙ্গে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাইফ দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে দলে আনা হলো পারভেজ হোসেন ইমনকে। মনে হচ্ছিল আজ বুঝি অভিষেক হবে এ বাঁহাতি ওপেনারের। কিন্তু নাহ! একাদশে পারভেজ ইমন নেই। এমনকি আগে থেকে দলে থাকা আরেক উইলোবাজ ইয়াসির আলী রাব্বিও নেই। নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন ইয়াসির রাব্বি। আড়াই বছর ধরে চার-পাঁচবার জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে জায়গা মিলেছে চট্টগ্রামের এ তরুণ ব্যাটারের।
কিন্তু হায়! একবারের জন্য ১১ জনে সুযোগ মেলেনি। পাকিস্তানের সঙ্গে এবারও খেলবেন, খেলবেন করে আর খেলা হলো না। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগের মতোই ড্রেসিংরুম শেয়ার আর ডাগআউটে বসে থেকেই কাটলো এক সপ্তাহ। কেন তাকে বিবেচনায় আনা হয় না? কী কারণে ইয়াসির রাব্বি একাদশে নেই? তার জবাবও নেই। মানা গেলো, মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে দলে এসেছেন পারভেজ ইমন। তাকে সুযোগ দেওয়ার আগে হয়তো অনেক কিছুই চিন্তায় এনেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাহলে আগে থেকে দলে থাকা ইয়াসির রাব্বিরই প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি অবহেলিতই থেকে গেলেন, জায়গা পেলেন তরুণ শামীম পাটোয়ারী। সঙ্গে অভিষেক হয়েছে শহিদুল ইসলামের। ব্যাটিংটা ভাল হচ্ছে না, স্কোরবোর্ড জীর্ণ-শীর্ণ। প্রথম ম্যাচে ১২৭, পরের খেলায় ১০৮ রান করার পর কোথায় ব্যাটিং লাইনআপটা একটু ঢেলে সাজানো হবে, পারভেজ ইমন-ইয়াসির রাব্বিকে কোথায় কাজে লাগানো যায়, তা ভেবেচিন্তে খেলানো হবে- তা না, দলে আনা হলো বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। আগেই জানা মোস্তাফিজুর রহমান খেলবে না। খানিক ইনজুুরি আছে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামেরও। দুইজনের ব্যাকআপ হিসেবে যাকে শেষ মুহূর্তে দলে আনা হলো, সেই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বিও নেই। তাসকিনের সঙ্গে একজন মাত্র পেসার, অভিষিক্ত শহিদুল। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে আরও তিন স্পেশালিস্ট স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। মানে অফস্পিনার, লেগস্পিনার ও বাঁহাতি স্পিনার- স্পিন আক্রমণ নিয়েই মাঠে নামা। এমন সাজানো গোছানো ও বৈচিত্রপূর্ণ বোলিং লাইনআপের চাই লড়িয়ে পুঁজি। কিন্তু সেই ব্যাটিংয়ের ক্ষত সারাতেই নেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ।