বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে

 বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে

প্রথম নিউজ, ঢাকা : বিজিবির প্রত্যেক সদস্যকে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কুমিল্লা সেক্টরের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩’ এর চূড়ান্তপর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী ও চৌকস সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ বাহিনী দেশের First Line of Defence বা প্রথম সারির প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকল্পে সার্বক্ষণিক সীমান্তে নিয়োজিত রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে ধ্বংসের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য বিজিবির প্রতিটি সৈনিককে অস্ত্র চালনায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই দক্ষতা অর্জনের মূলমন্ত্র হচ্ছে -‘এক বুলেট, এক শত্রু’। তাই বিজিবিতে আয়োজিত সব প্রতিযোগিতার মধ্যে ফায়ারিং প্রতিযোগিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, যে কোনো প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে জয়-পরাজয়ের চেয়ে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা।

বিজিবি মহাপরিচালক ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব বিজিবি সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিজিবির সরাইল রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুমিল্লা সেক্টরের ব্যবস্থাপনায় গত ১৭ অক্টোবর বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় বিজিবির ৫টি রিজিয়ন ও একটি স্বতন্ত্র সেক্টর থেকে আসা মোট ৬টি দলের মোট ৭২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় সরাইল রিজিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং কক্সবাজার রিজিয়ন রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এছাড়া ফায়ারিংয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে কক্সবাজার রিজিয়নের বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) সিপাহী মুন্নাফ হাসান প্রথম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং সরাইল রিজিয়নের সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) ল্যান্স নায়েক স্বাধীন কুমার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হন।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস