বকেয়া ভাতার দাবিতে বিসিপিএস ডাক্তারদের অবস্থান কর্মসূচি

বকেয়া ভাতার দাবিতে বিসিপিএস ডাক্তারদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বকেয়া পারিতোষিকের দাবিতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সে (বিসিপিএস) অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন এফসিপিএস পার্ট-২ প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের একাংশ। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে মহাখালীর বিসিপিএস ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি আদায় না হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এসব প্রশিক্ষণার্থী।

অবস্থানরত প্রশিক্ষণার্থীরা জুলাই-২০১৯ সেশনে এফসিপিএস পার্ট-১ উত্তীর্ণ হন। তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সম্মানী পাওয়ার কথা থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে ৭২ জন চিকিৎসককে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রাপ্য ভাতা আদায়ের দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।

এফসিপিএস পার্ট-২ প্রশিক্ষণার্থী ডা. মাকসুদা বলেন, ‘জুলাই-২০১৯ সেশনে আমরা এফসিপিএস পার্ট-১ উত্তীর্ণ হই। ওই সময় বিসিপিএস একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে যে পুরো ট্রেনিংয়ের সময়কালজুড়ে সম্মানী প্রদান করা হবে। সে অনুযায়ী আমরা পারিতোষিক পেয়ে আসছিলাম। আমরা ভাতা বাড়ানোর আন্দোলন করি, সেটি বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় রাগ করে একটি গ্রুপকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

আন্দোলনরত প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, বারবার যোগাযোগ সত্ত্বেও বিসিপিএস কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মানেননি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে গেলে জানানো হয়, এটি তাদের এখতিয়ারবহিভূর্ত। বিসিপিএস যে তালিকা দেয়, মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী ভাতা বরাদ্দ দেয়।

একই সঙ্গে বিসিপিএস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানি, ভুল তথ্য প্রদান ও ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার অভিযোগও তুলেছেন আন্দোলনরত প্রশিক্ষণার্থী। জরুরি প্রয়োজনে প্রশিক্ষণকালীন ছুটি দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ তাদের। তারা বলছেন, ‘চিকিৎসকদের কেউ অসুস্থ হলে ১০ দিনের ছুটিও মঞ্জুর করা হয় না। বলা হয়, তোমরা পরের সেশন থেকে আবার জয়েন করো। এক মাসের অনুপস্থিতির জন্য পাঁচ মাসের সম্মানী বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের সেশনে আবার জয়েন করতে হয়।’

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই সেশন থেকে প্রশিক্ষণরত এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা প্রদান শুরু করে বিসিপিএস। তখন ভাতার পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা। ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ৫ বছর মেয়াদে প্রযোজ্য এই ভাতা ছয় মাস পরপর দেওয়া হয়।