বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে দেশে ফেরত না পাঠাতে সম্মত মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ

বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে দেশে ফেরত না পাঠাতে সম্মত মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠাতে মালয়েশিয়ার আদালত যে রায় দিয়েছে তা মেনে নিতে সম্মত হয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে ইমিগ্রেশন বিভাগের আইনী প্রতিনিধি ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নর আমালিনা ইসমাইলের দেয়া অঙ্গীকার রেকর্ড করেছে কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট।

কাইয়ুমের আইনজীবী এডমান্ড বন ওই অঙ্গিকার রেকর্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি বিচারক কে মুনিয়ান্ডিকে জানান যে, গতরাতে কাইয়ুমের পরিবার তাকে ফেরত পাঠানোর আদেশ সম্পর্কে ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে, যা গত ২৪শে জানুয়ারি লেখা হয়েছিল। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর এই আদেশ গত ১৮ই জানুয়ারী হাইকোর্টের দেয়া একটি পূর্ববর্তী রায়কে লঙ্ঘন করে। ওই রায়ে ২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে থাকা কাইয়ুমকে দেশে ফিরতে বাধ্য করার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। বন আরও বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের এই আদেশ আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উদ্বিগ্ন যে, আগামী ৫ই এপ্রিলের ওই শুনানির সময় তিনি এখানে থাকতে পারবেন কিনা। আমার সহকর্মী আজ সেমেনিহ গিয়েছিলেন। কাইয়ুম এখনও সেখানে আছেন।

এরপরই তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, হয় ইমিগ্রেশন বিভাগকে কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে নয়ত কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ কার্যকরি না করার অঙ্গিকার করতে হবে। তিনি বলেন, আদালতের কার্যক্রমের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য এটি আমার বিনীত অনুরোধ। আমালিনা এরপর বিচারক মুনিয়ান্দিকে জানান যে, কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর জন্য গত ১৮ই জানুয়ারি আদালতের দেয়া আদেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, আমরা আদালতের আদেশ আমরা মেনে চলব। আমরা কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পদক্ষেপ নেব না। তিনি সেমেনিহেতেই থাকবেন।

এর আগে মালয়েশিয়ার পুলিশ ও বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) যৌথ অভিযানে গত ১২ই জানুয়ারি আমপাংয়ে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার হন কাইয়ুম। মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারাম এর আগে অভিযোগ করে যে, কাইয়ুমকে আটকের অনুরোধটি রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের পদ্ধতিগত ক্র্যাকডাউনের অংশ। কাইয়ুম ২০১৫ সাল থেকে ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’ (এমএমটুএইচ) প্রোগ্রামের অধীনে রয়েছেন। যদিও বিভিন্ন নথিতে দেখা যায় যে, তার এমএমটুএইচ পাস প্রত্যাহার করা হয়েছিল।