পাহাড়ের কারখানা থেকে অস্ত্র যেতো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
তিন জন অস্ত্রের কারিগরসহ ১০টি অস্ত্র, গুলি, ধারালো অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৫) সদস্যরা।
প্রথম নিউজ,কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের জন্য পাহাড়ে গড়া হয়েছিল অস্ত্রের কারখানা।
আজ সোমবার ভোরে কুতুপালং এলাকায় পলিয়াপাড়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে 'অস্ত্র কারখানা' থেকে তিন জন অস্ত্রের কারিগরসহ ১০টি অস্ত্র, গুলি, ধারালো অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৫) সদস্যরা। এ ঘটনায় আটক তিন জন রোহিঙ্গা অস্ত্র কারিগর বলে দাবি করেছে র্যাব। আটকরা হলেন বাইতুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ ও মো. হাসন।
র্যাব বলছে, সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়। অবশেষে সেখানে র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল সরকারের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নিত্যানন্দ দাস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহের জন্য পাহাড়ে একটি অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে তিন জন অস্ত্র কারিগরকে আটক করা হয়েছে। তারা অস্ত্র বানিয়ে ক্যাম্পে ডাকাতদের সরবরাহ করে আসছিলো বলে জানিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ভোরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন সংরক্ষিত গহীন পাহাড়ে কিছু অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পেয়ে র্যাব অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে কুতুপালং সংলগ্ন একটি পাহাড় থেকে তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে ১০টি অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: