পশ্চিমবঙ্গে নারীকে প্রকাশ্যে নির্যাতন তৃণমূল নেতার!
ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের যৌন নির্যাতন, জমি দখল নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটের সন্দেশখালি ছিল টক অব দ্য কাউন্ট্রি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের যৌন নির্যাতন, জমি দখল নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। এবার ফের বিরোধীদের চাপে পড়লেন মমতা। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এক নারীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন এক তৃণমূল নেতা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, জেলার চোপড়া এলাকায় এক নারীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাজাম্মুল হক। যাকে সবাই ‘জেসিবি’ নামে চিনেন। ওই নারীর সঙ্গে মার খাচ্ছিলেন এক অজ্ঞাত পুরুষ। তাজাম্মুল ওই এলাকার বিধায়ক হামিদুল রহমানে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
টিভিনাইন বাংলা জানিয়েছে, ওই নারী বিবাহিত। তার সঙ্গে বিবাহিতবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ওই পুরুষের। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে অমিত লিখেছেন, ‘এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন ব্যবস্থার কুৎসিত চেহারা। যে তৃণমূলকর্মী মারধর করেছেন, তিনি তার ‘ইনসাফ সভার’ সভার মাধ্যমে দ্রুত বিচার দেওয়ার জন্য বিখ্যাত এবং চোপড়া বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই দানবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন নাকি শেখ শাহজাহানের মতো পক্ষে দাঁড়িয়ে তাকে রক্ষা করবেন’?
অমিতের দাবি, দেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা তোয়াক্কা না করে পশ্চিমবঙ্গে শরিয়া আইন চালু করতে চায় মমতা ব্যানার্জি। নারীর প্রতি এমন নির্যাতন তারই লক্ষ্মণ। বিজেপির সঙ্গে চোপড়ার এই কাণ্ডে মমতার কঠোর সমালোচনা করেছেন সিপিএম ও কংগ্রেস।
তবে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানিয়ালাল আগরওয়াল বলেছেন, ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক স্থানীয় মানুষজন গ্রহণ করতে পারেননি। সাধারণ মানুষের ‘অসন্তোষের’ জন্য এ ঘটনা। দলের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।