গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কেন রাস্তায় নামতে হবে, প্রশ্ন রহমাতুল্লাহর

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কেন রাস্তায় নামতে হবে, প্রশ্ন রহমাতুল্লাহর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমাতুল্লাহ বলেছেন, ‘সরকারের পতনের পরেও কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য রাস্তায় নামতে হবে, সমাবেশ করতে হবে?’ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দা ভয়েস অফ টাইমস এর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘আমার সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আমার দেশ এবং মাহমুদুর রহমান বিগত বছরগুলোতে অনেক নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। আমরা গত ১৭ বছর এর প্রতিবাদ করেছি। তখন ছিল একটি স্বৈরশাসক, ভোট ডাকাত, গণবিরোধী সরকার। কিন্তু ফ্যাসিস্ট পতনের পর কেন মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। এই টা হচ্ছে আমাদের কাছে সব থেকে কষ্টের।’

তিনি বলেন, ‘আজকে মাহমুদুর রহমানের রক্তের মধ্য দিয়ে, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি, এই সরকার। সরকার থাকা অবস্থায় আমার দেশ পত্রিকা স্বাধীনভাবে লিখতে পারবে না, ন্যায়ের পক্ষে লিখতে পারবে না, এটা আমাদের জন্য খুব দুঃখ এবং লজ্জার।’
অতীতে আমার দেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে দুর্বার গতিতে লেখার জন্য, সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য। সেই আমার দেশ আবার নতুন করে চালু হয়েছে। কিন্তু সেই সব ষড়যন্ত্রকারীরা আমার দেশ এবং তার রিপোর্টারদের উপর আবারও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিতে হবে। গণমাধ্যমে যাতে স্বাধীনভাবে লিখতে পারে এই ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু আমার দেশ নয়। যারা সত্যের পক্ষে লিখে তাদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও রিপোর্টারদের নামে যে মামলা হয়েছে, তা পড়তে আর করতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভিসি ড. আব্দুর রব, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার সহ প্রমুখ।