সাংবাদিক আফতাব খুনের পর ৯ বছর সীমান্তে পালিয়ে ছিলেন রাজু

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে

 সাংবাদিক আফতাব খুনের পর ৯ বছর সীমান্তে পালিয়ে ছিলেন রাজু
 সাংবাদিক আফতাব খুনের পর ৯ বছর সীমান্তে পালিয়ে ছিলেন রাজু

প্রথম নিউজ, ঢাকা : একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

এটিইউ জানিয়েছে, বাসা ভাড়ার কথা বলে ঘাতকরা সাংবাদিক আফতাব আহমেদের বাসায় প্রবেশ করে। ঘাতকদের সহযোগিতা করে তার গাড়িচালক হুমায়ুন কবির। পরে ঘাতকরা বাসায় ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেন আফতাব আহমেদ। এক পর্যায়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে ঘাতকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

ঘাতক রাজু মুন্সির সঙ্গে সাংবাদিক আফতাবের গাড়ির চালক হুমায়ুন কবির মোল্লার আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় এটিইউ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এটিইউর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স) এম এম হাসানুল জাহিদ এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে দিনাজপুর ফুলবাড়ি এলাকা থেকে রাজু মুন্সিকে গ্রেফতার করে এটিইউর একটি দল। সে দীর্ঘ নয় বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। এসময়ে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। গ্রেফতার আসামির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

হাসানুল জাহিদ বলেন, আফতাব আহমেদ পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে রাজুসহ বেশ কয়েকজন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ওই বাসায় ঢুকেন। সেখানে তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করে। এসময় ঘাতকদের বাধা দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন আফতাব আহমেদ। এরই এক পর্যায়ে ঘাতকরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এটিইউয়ের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ২৬ ডিসেম্বর রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারের এক বছরের মাথায় রাজু মুন্সিসহ দুই আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপন চলে যান।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অন্য আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: