হার্ট অ্যাটাকের আগে যেসব সংকেত দেয় শরীর

হার্ট অ্যাটাকের আগে যেসব সংকেত দেয় শরীর

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : আধুনিক যুগের জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের প্রভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে হার্ট অ্যাটাক একটি সাধারণ অথচ প্রাণঘাতী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে হয় না—শরীর আগে থেকেই কিছু সতর্কসংকেত দেয়। সেই সংকেতগুলোকে চিনে নেওয়াই পারে একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে।

হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে কী সব লক্ষণ দেখা দেয়, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

বুকে ব্যথা বা চাপ : হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা। বুকে ভারী টান, চাপ বা জ্বালাভাব অনুভূত হলে তা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে অথবা থেমে থেমে আসতে পারে। এই উপসর্গ উপেক্ষা করা বিপজ্জনক।

শ্বাসকষ্ট : সাধারণ কাজকর্ম বা বিশ্রামের সময়ও যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে তা হৃৎপিণ্ডের অকার্যকারিতার ইঙ্গিত হতে পারে। কখনো কখনো বুক ধড়ফড় করতেও পারে।

উচ্চ রক্তচাপ : ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে পরিচিত উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। হৃৎপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

উচ্চ কোলেস্টেরল : খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তনালিতে প্লাক জমে, যা হার্টে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে। প্রতি ছয় মাসে একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো প্রয়োজন

অবিরাম ক্লান্তি : সাধারণ বিশ্রামেও যদি ক্লান্তি না কাটে, তাহলে তা হৃদযন্ত্র ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে পারছে না—এই ইঙ্গিত দিতে পারে। এ সময় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

স্থূলতা : অতিরিক্ত ওজন হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে এবং উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম অভ্যাসে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।