দিল্লিতে বন্ধ হয়ে গেল আফগান দূতাবাস
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নয়াদিল্লির আফগান দূতাবাস কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীদের অভিযোগ, মোদি সরকারের কাছ থেকে সাহায্য না পাওয়ার কারণে দূতাবাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে চলে গিয়েছেন। সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে ১ অক্টোবর থেকে দূতাবাস বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। আমাদের অনুরোধ, এর আগে ভারত সরকারের কাছে জমা দেওয়া চার দফা যেন গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। বিশেষ করে দূতাবাস প্রাঙ্গণে যেন আফগানিস্তানের পতাকা ওড়াতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হয় এবং কাবুলের ভবিষ্যৎ বৈধ সরকারের কাছে দূতাবাসের সমস্ত কিছু যেন হস্তান্তর করা হয়।’
কাবুলের বর্তমান তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। কিন্তু কাবুলে ভারত-সহ ১২টি দেশের দূতাবাস এখনও চালু রয়েছে। আফগানদের জন্য চালু করা মানবিক সাহায্য, বাণিজ্য ও মেডিক্যাল সাহায্য চালু রাখার জন্য দূতাবাস খোলা রাখা হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। অন্যদিকে পদচ্যুত আশরাফ ঘানি সরকার নিযুক্ত কূটনীতিকদের দিল্লির আফগান দূতাবাস থেকে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু এবার আফগান দূতাবাসের কর্তারাই ভারত ছেড়ে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দূতাবাস সূত্র।
এদিকে দিল্লিতে আফগান দূতাবাস বন্ধ হলেও মুম্বাই ও হায়দরাবাদে আফগান কনসুলেটগুলো চালু থাকবে। উল্লেখ্য, মুম্বাই এবং হায়দরাবাদের কনসাল জোরেলদের এর আগের আশরাফ ঘানির সরকারই নিয়োগ করেছিল। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পরই নাকি তারা বর্তমান শাসকদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছিলেন।