দার্জিলিংয়ে বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যু

 দার্জিলিংয়ে বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যু

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল দার্জিলিং। এবার দার্জিলিংয়ে বেড়াতে এসে মৃত্যু হলো এক বাংলাদেশি পর্যটকের। মৃত বাংলাদেশি পর্যটকের নাম শেখ আজিজুল হক। বয়স ৬৫ বছর। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা তিনি।

জানা গেছে, দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন আজিজুল হক। ট্রেনেই পরিচয় হয় বাংলাদেশের মিরপুরের অপর এক বাসিন্দা মো. ফজলুল রহমানের সঙ্গে। নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে নামেন আজিজুল হক ও তার অপর সঙ্গী ফজলুল রহমান।

নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে নামার পর থেকেই আজিজুল অসুস্থবোধ করে। দার্জিলিং থেকে ৩৮ কিলোমিটার আগে কার্শিয়াংয়ের রোহিনীর কাছে আসতেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রোহিনী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ শেখ আজিজুল হককে উদ্ধার করে দ্রুত গাড়িতে করে কার্শিয়াং হাসপাতলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আজিজুলকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা দেন ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী আজিজুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মারা গেছেন।

আজিজুল হকের সঙ্গে থাকা অপর সঙ্গী ফজলুল রহমান জানিয়েছেন, ট্রেনেই তার সঙ্গে আজিজুলের পরিচয় হয়। মঙ্গলবার এনজিপি স্টেশনের নামার পর তাদের সঙ্গে আরও দুই জন বাংলাদেশি পর্যটকদের সঙ্গে পরিচয় হয়।

ফজলুল রহমান আরও জানিয়েছেন, আমরা সবাই ঠিক করি যে, একটি শেয়ারিং গাড়ি ভাড়া করে পাহাড়ে যাবো।

এরপর এনজিপি স্টেশনে বাংলাদেশি মুদ্রা বদল করে ভারতীয় রুপি সংগ্রহ করে এবং ভারতের মোবাইল সিমও কেনেন ফজলুল রহমান। তিনি বলেন, আজিজুলকে দেখে আমার মনে হলো ও অসুস্থ বোধ করছে। পাশের দোকান থেকে একটি পানির বোতল কিনে আজিজুলকে দেওয়া হয়।

আজিজুল ও ফজলুল দুজনের একটু দেরি হওয়ায় তাদের সঙ্গে পরিচয় হওয়া সেই দুই বাংলাদেশি পর্যটক আগেই দার্জিলিং এর উদ্দেশে রওনা দিয়ে দেয়।

পরে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তারপর গাড়ি করে আমরা দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই। কিন্তু কার্শিয়াংয়ের রোহিনীর কাছে হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট বাড়ে, এ সময় আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য আজিজুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আজিজুল হকের পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে যোগাযোগ করছে। তারপর নিয়মমাফিক মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।