ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ২৭ কিমি যানজট
প্রথম ঢাকা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ২৭ কিলোমিটার অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের সংস্কারকাজ চলার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১২টা থেকে যানজটের কবলে পড়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন। যানজটে আটকা পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্তের হাজারো যাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের টেরিয়াইল থেকে থেকে বারআউলিয়া পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূরপাল্লার শত শত বাস, ট্রাক, কার, ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়েছে।
মিরসরাইয়ের করেরহাট এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। দেড়ঘণ্টা হলো সীতাকুণ্ডে আটকে আছি। অথচ এ সময়ে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন দুবাই প্রবাসী আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘বিকেল ৫টায় বিমানবন্দরে প্রবেশ করার কথা। অথচ বিকেল সাড়ে ৩টায় মাত্র সীতাকুণ্ড পৌর সদর অতিক্রম করেছি। নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারবো কি না শঙ্কায় রয়েছি।’
বাড়বকুণ্ড এলাকার বাসিন্দা মুসলিম উদ্দিন জানান, তিনি দুপুরের পর ব্যক্তিগত কাজে শহরে যেতে শুকলাল হাট বাজার থেকে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু যানজটের কারণে মন্থর গতিতে গাড়ি চলায় পাঁচ মিনিটের পথ বাঁশবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত এসেছেন এক ঘণ্টারও বেশি সময়ে।
যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, মহাসড়কের বারআউলিয়া এলাকার দিকে কিছু সংস্কারকাজ চলছে। এজন যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি অল্প সময়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সীতাকুণ্ডের উপ-প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানান, মহাসড়কের ১৫০ মিটারের মতো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা সংস্কার করা হচ্ছে। গাড়ি ধীরে চলায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে চালকদের কারণে যানজটের মাত্রা বেড়ে যায়।