ডিসেম্বরে নির্বাচনের আভাস, প্রস্তুতির নির্দেশ কাদেরের
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথসভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : আগামী ডিসেম্বর মাসে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি গুজব মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথসভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন। বলেন, আমাদের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলছে, হোপফুলি নির্বাচন কমিশনের আভাস অনুযায়ী আমাদের ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনে সরকার কোনো পক্ষপাতিত্ব বা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না বলেও নিশ্চয়তা দেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে গুজবের দিকে নজর রাখার পরামর্শও দেন কাদের। তিনি বলেন, আজকে আমরা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের দিকে অভিযাত্রা শুরু করেছি। জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে রাজনীতিতে, ইলেকশন আসলেই দেখা যায় একটা শঙ্কা, নানা ধরনের গুজব ডালপালা বিস্তার করে।
বিএনপি’র কর্মসূচি ও এর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের যে কর্মসূচি তা নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে প্রথম থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করলেও তারা সবকিছুতেই আওয়ামী লীগকে শত্রু পক্ষ মনে করে। আজকে আমরা কোনো কর্মসূচি দিলেই কিছু সংবাদ মাধ্যম বিএনপি’র কথাটাকে প্রতিদ্বন্দ্বী করে। বিএনপি বলছে পাল্টাপাল্টি, আমরা তো পাল্টাপাল্টি সভা, সমাবেশ করছি না। বিএনপি গত এক বছর ধরে মাঠে এসেছে, বিশেষ করে ডিসেম্বরে। তারা আন্দোলন করবে, গণঅভ্যুত্থান করবে, ১১ই ডিসেম্বর থেকে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে, তারেক রহমান গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেবে, এসব বড় বড় কথা তারা বলেছে। কিন্তু দেশবাসী লক্ষ্য করেছে যে, আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায়, বিশেষ করে পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে তাদের আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কায় আমরা শান্তির সমাবেশ করেছি। যতক্ষণ বিএনপি আন্দোলন করবে আমরা শান্তি সমাবেশ করবো। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপি’র কাছ থেকে প্রত্যাশিত আচরণ না পাওয়ার আক্ষেপের কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক চেয়েছি, কম্পিটিশন চেয়েছি। তারা সব সময়, তাদের জন্ম থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, একুশে আগস্টের ঘটনা, ২০০১ সাল, সব কিছুতেই তারা আমাদের বরাবরই শত্রুপক্ষ মনে করে আসছে।
শত্রুপক্ষ হিসেবে তারা আমাদের সঙ্গে শত্রুতাই করে গেছে। এই শত্রুতার অপরিহার্য সঙ্গ ষড়যন্ত্র। এটা তারা আমাদের সঙ্গে করেছে। অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানম যৌথ সভায় অংশ নেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: