ছাত্রলীগের মামলায় বাড়ি ছাড়া বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকার্মীরা

আজ সোমবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.জা. মাসুদুজ্জামান।

ছাত্রলীগের মামলায় বাড়ি ছাড়া বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকার্মীরা

প্রথম নিউজ, পিরোজপুর: পিরোজপুরে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনার ছাত্রলীগের দেওয়া মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুনসহ ১১ নেতাকর্মীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছাত্রদল ও তাদের নেতাকার্মীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ বিএনপির।

আজ সোমবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.জা. মাসুদুজ্জামান।

এর আগে শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম বাদী হয়ে সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনসহ দেড়শত জনকে আসামি দেওয়া হয়েছে। এদিকে রোববার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ।

থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে মিছিল বের করে। একই সময় জেলা বিএনপির নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা গণমিছিল নিয়ে বের হয়। ২টি মিছিল জেলা কালেক্টরেট স্কুলের মূল গেটে পৌঁছলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ সকল আসামিরা বোমা হামলা করে। পরে বিএনপি-ছাত্রলীগের মধ্যে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমার তালুকদার বলেন, আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হলো, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হলো। সবশেষে আসামি করে আমাদের নামেই মামলা দেওয়া হল। আমরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারিনি। আমাদের বিভিন্নস্থানে পালিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের হামলার দাবিটি মিথ্যা। মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে বর্তমানে আতঙ্কে আছেন।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ তাই আমাদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরসহ বিভিন্নস্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ৩০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে। আহতরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও তাদের ওপর হামলাসহ তাদের চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক বলেন, বিএনপি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমাদের কাছে গুলি বা বোমা কিছুই ছিল না। এগুলো বিএনপি জামায়াতের কাজ। আমরা সেখানে কোনো ধরনের হামলা করিনি। বরং তারা আমাদের উপর বোমা হামলা করেছে। এতে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.জা. মাসুদুজ্জামান জানান, বিএনপির বিরুদ্ধে বোমা হামলার অভিযোগে ৬৯ জনকে নামীয় এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছে ছাত্রলীগ। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom