চিনা হ্যাকারদের বারবার সাইবার হানা! কর্মীদের সতর্ক করল ভারত সরকার

চিনা হ্যাকারদের বারবার সাইবার হানা! কর্মীদের সতর্ক করল ভারত সরকার
চিনা হ্যাকারদের বারবার সাইবার হানা! কর্মীদের সতর্ক করল ভারত সরকার- প্রতিকী ছবি

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনী। গত ৯ই ডিসেম্বরের সেই ঘটনায় দু'পক্ষেরই কয়েকজন করে আহত হয়েছেন। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ভারতের থেকে চীনের সেনা বেশি আহত হয়েছে। সংঘাতের পর দু'পক্ষই ওই এলাকা থেকে পিছু হটে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘাতের ঘটনার পর শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চীনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওই এলাকার ভারতের কমান্ডার। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঝামেলা বহু দিনের। তবে দুই দেশই নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত টহল দেয়। যে রীতি ২০০৬ সাল থেকেই চলে আসছে। এরপর এবারই প্রথম এ ধরণের কোনো সংঘাত হলো। এদিকে ভারতের পার্লামেন্টে তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস।

দলটি অভিযোগ করেছে যে, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার সীমান্ত ইস্যুকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। মূলত সে কারণেই চীন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে ভারত ও চীনের সেনা সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর প্রকাশ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে এই তোপ দাগল কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। কিন্তু চীনা সীমালঙ্ঘন নিয়ে সকল তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ সরকারের। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার কাছে চীন যেসব নির্মাণ কাজ করেছে, সেই বিষয়ে সৎ হওয়া উচিত বিজেপি সরকারের। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করে সরকারের উচিৎ জাতির আস্থা অর্জন করা। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক টুইট বার্তায় লেখেন, সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বে আমরা গর্বিত। গত দুই বছর ধরে আমরা বারবার সরকারকে জাগানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বাঁচাতে বিষয়টি চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ কারণে চীনের সাহস বাড়ছে।

তবে বিতর্কের রাস্তায় না গিয়ে ভারতীয় সেনাদের প্রশংসা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক টুইটে তিনি বলেন, আমাদের জওয়ানরা দেশের গর্ব। আমি তাদের সাহসিকতাকে সালাম জানাই এবং আহত জওয়ানদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। এর আগে ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারত এবং চীন। ওই বছরই সংঘাত হয় গালওয়ান উপত্যকায়। সে ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ২০ ভারতীয় সেনার। চীনের পক্ষে নিহতের সংখ্যা জানা যায় না। পরবর্তীতে একাধিকবার কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পর একাধিক সংঘাতপূর্ণ জায়গা থেকে পিছু হটেছে ভারত এবং চীন। তবে সব জায়গায় এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom