চিনি আমদানিতে শুল্ক অর্ধেক করার সুপারিশ

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া এক চিঠির মাধ্যমে এ অনুরোধ জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।

চিনি আমদানিতে শুল্ক অর্ধেক করার সুপারিশ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: আসন্ন রমজান মাসে দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চিনি আমদানিতে নিয়মিত শুল্ক (আরডি) অর্ধেক করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকা জুড়ে চিনি চোরাচালানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া এক চিঠির মাধ্যমে এ অনুরোধ জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। বিদ্যমান ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হলে চিনির দাম বাজারে স্থিতিশীল থাকবে বলে  বিশ্বাস করে ট্যারিফ কমিশন। পাশাপাশি চিনি আমদানিতে শুল্ক ও কর কমিয়ে আনা হলে চিনির চোরাচালান হ্রাস পাবে। বিটিটিসি’র চিঠিতে বলা হয়, সাধারণত রমজান মাসে স্থানীয় বাজারে চিনির চাহিদা বেড়ে যায়। এই বিবেচনায়, এখন থেকেই পরিশোধনকারীদের চিনি আমদানির জন্য ক্রেডিট লেটার (এলসি) খোলা উচিত। যাতে সামগ্রিক চিনির সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল থাকে।

কয়েকটি নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশে সাড়ে ১৭ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মেটাতে ৯০ শতাংশ চিনি আমদানি করা হয়ে থাকে। আমদানির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে চিনি আমদানিতে ৫ ধরনের শুল্ক-কর রয়েছে। প্রতি টন অপরিশোধিত চিনিতে আগে আমদানি শুল্ক ছিল নির্ধারিত ৩ হাজার টাকা। গত নভেম্বরে তা কমিয়ে অর্ধেক অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। 

এর বাইরে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি), ৩ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) এবং ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) রয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত চিনিতে বর্তমানে আমদানি শুল্ক নির্ধারিত ৩ হাজার টাকা, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ, এটি ৫ শতাংশ এবং আরডি রয়েছে ৩০ শতাংশ। ট্যারিফ কমিশন বিদ্যমান এই ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সুপারিশ এনবিআরের কাছে করেছে।

সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২৮-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও খুচরা বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪০ এবং প্যাকেট চিনি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।