চক্ষু হাসপাতালের ৬৬ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি, গ্রেপ্তার ৩
সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৬৬ লাখ টাকার যন্ত্রাংশসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও ও মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজধানী ঢাকার কাফরুল এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পাইকশা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ধুলাউরি গ্রামের মৃত আহাম্মেদ আলীর ছেলে এফএম রেজাউল করিম।
কিশোরগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নে কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ টাকার চক্ষু পরীক্ষা ও ট্রিটমেন্টের মেশিনসহ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়। পরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ১৩ মে কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের প্রশাসক মাহসুরা খন্দকার বাদী হয়ে মামলা করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান ১৭ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত মামলাটি তদন্ত করেন। ২৫ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে মামলাটির তদন্তভার পায় কিশোরগঞ্জ সিআইডি। তদন্তভার পাওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ সিআইডি।
কিশোরগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুহাম্মদ ফরহাদ বলেন, চক্ষু হাসপাতালের চুরির ঘটনাটি আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছি। অল্প সময়ের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে নিজস্ব টিম গঠন করেছি। টিমের কাজ ছিল ম্যানুয়ালি তথ্যগুলো সংগ্রহ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তা কানেক্ট করা। যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এই চুরিতে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করেছি আমরা। শিগগিরই তাদেরও গ্রেপ্তার করে মামলার পূর্ণাঙ্গ একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা যন্ত্রাংশগুলো চুরি করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। এই অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশগুলো তারা অন্য কোথাও বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। আরও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।