ঘূর্ণিঝড় মোখা: ঝুঁকিতে ৩৩ রোহিঙ্গা ক্যাম্প
শনিবার সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে। তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে পাঁচ হাজারের স্বেচ্ছাসেবক। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে পাহাড়ের ওপরে ও পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে, তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। শনিবার সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যেহেতু ক্যাম্পর ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস, তাই এতগুলো মানুষ সরিয়ে নেওয়ার মতো ব্যবস্থা আসলে নেই। তবে ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভাব্য দুর্যোগে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রস্তুতি নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছ্বাসেবক, রেডক্রিসেন্টসহ অন্য স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোকে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি মেডিকেল টিম ও মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাৎক্ষণিক কাজ করবে ‘সাইট ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ।’
সামছুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা শিবিরের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহের জন্য ত্রিপল, বাঁশ, সুতলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব উপকরণ সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী ভূমিধস কিংবা বন্যা দেখা দিলে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সংস্থা সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।