গায়ক পাখি বাঁচাতে আলজেরীয় উদ্যোগ,সবিশেষ
প্রথম নিউজ, অনলাইন : গোল্ডফিঞ্চ মূলত পরিযায়ী পাখি। এটি পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় পাখি। সুরেলা কণ্ঠে গান গাইতে পারে বলে এই পাখির কদর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উত্তর আফ্রিকান দেশ আলজেরিয়ায়। ওখানে এই পাখি ‘মাকনিন’ নামে পরিচিত।
আলজেরীয়দের কাছে পাখিটি এতটাই প্রিয় যে প্রায় প্রতিটি বাড়ির খাঁচায় এই পাখির দেখা মেলে। ভাবা যায়, ২০২১ সালের এক পরিসংখ্যান মতে, আলজেরিয়ায় খাঁচায় বন্দি মাকনিনের সংখ্যা ছিল ৬০ লাখেরও বেশি। পাখিটির জনপ্রিয়তা এখান থেকে হয়তো অনুধাবন করা যায়।
দেশটিতে এই পাখি শিকার ও বিক্রির নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সেই ২০১২ সালে।
কিন্তু আইন মানা হয়নি। কেউ মানতেও চায় না। রঙিন পাখা আর বাহারি লেজের এই পাখি এই পাখি পোষা আলজেরীয়দের জাতীয় শখে পরিণত হয়েছে। আর এই শখ মেটাতে গিয়ে পাখিটি এখন বিপন্নের কাতারে চলে এসেছে।
পাখিটি রক্ষায় কয়েক বছর ধরে বেশ সোচ্চার দেশটির পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তারা নানা ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে পাখিটি রক্ষায়। দেশটির ওয়াইল্ড সংবার্ড প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের ভলান্টিয়ার জেইনাল আবিদিন চিবুত বলেন, ‘পাখিগুলোকে যখন আপনি খাঁচায় রাখবেন তখন এগুলো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগবেই। এগুলোর পেটের নাড়িভুঁড়ি ফুলে যাবে। এগুলোর খাদ্যাভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন আসায় এমনটা হয়।
নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতেও ওদের বেশ কষ্ট হয়।’
মাকনিন পাখিকে আলজেরিয়ানরা স্বাধীনতার প্রতীক মানলেও পাখিটিকে তারা খাঁচায় পুষতে বেশ পছন্দ করে। উনিশ শ পঞ্চাশের দশকে এই পাখিকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেশটির কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীরা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই পাখির প্রতি ভালোবাসার অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মার্চ মাসে তারা একটি শোভাযাত্রারও আয়োজন করে। পরিবেশবাদী ও পাখিপ্রেমীরা বলছেন, ‘আমরা খাঁচায় বন্দি মাকনিন পাখিগুলোকে যেদিন মুক্ত করে দিতে পারব সেদিনই ওরা প্রকৃত স্বাধীন হবে।
সূত্র : এরাব নিউজ