খার্তুম থেকে বহু দেশের কূটনীতিকদের উদ্ধার

সুদানের রাজধানী খার্তুমে তীব্র লড়াই চলছে। মুহুর্মূহু গুলি আর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে শহরটি।

খার্তুম থেকে বহু দেশের কূটনীতিকদের উদ্ধার

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সুদানের রাজধানী খার্তুমে তীব্র লড়াই চলছে। মুহুর্মূহু গুলি আর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে শহরটি। এ অবস্থায় সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন তাদের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেছে আকাশপথে। রোববার তারা এ ঘোষণা দিয়েছে। একই দিন ইতালি, বেলজিয়াম, তুরস্ক, জাপান ও নেদারল্যান্ড ঘোষণা দিয়েছে, তারাও উদ্ধার অভিযান শুরু করছে। ফরাসি একদল কূটনীতিক দূতাবাস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা ভারি গোলাগুলির মধ্যে পড়েন। ফলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ফরাসি দূতদের বিরুদ্ধে হামলার জন্য সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একে অন্যকে দায়ী করেছে।

মিডিয়ায় এ খবর প্রচার হলেও হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, কূটনীতিকদের উদ্ধার  অভিযানে জড়িত রয়েছে জিবুতিভিত্তিক ফরাসি সেনারা। তারা কূটনীতিকদের উদ্ধার করে জিবুতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।  ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয বলেছে, তাদের নাগরিক এবং ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও অন্য মিত্র দেশগুলোর নাগরিকদের উদ্ধারে চেষ্টা করছেতারা। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রোববার সকালে চিনুক হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আকাশপথে প্রায় ১০০ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। লড়াইয়ে কোনো অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত হয়নি। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টারে গুলি করেনি আরএসএফ। অভিযানের পর থেকে খার্তুমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ রয়েছে। একই টুইটে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার করা নিরাপদ নয়।  

খার্তুমের বাইরে একটি বিমানঘাঁটি থেকে কূটনীতিক, শিশুসহ তাদের পরিবারকে উদ্ধার করেছে বৃটেন। সুদানে অবস্থানকারী বৃটেনের অন্য নাগরিকরা কোথায় আছেন তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, এসব নাগরিকদের উদ্ধারের সুযোগ চরমমাত্রায় সীমিত। এর আগের দিন শনিবার মিশর, পাকিস্তান এবং কানাডা সহ উপসাগরীয় দেশগুলোর কমপক্ষে দেড়শ মানুষকে সমুদ্রপথে উদ্ধার করে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে নেয়া হয়েছে।

ওদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে পুরো সুদানে ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি নেই। এর ফলে খার্তুম এবং অন্য শহরগুলোতে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।