ক্রিমিয়ায় ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্রে ইউক্রেনের হামলা
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল ও রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতুতে সফল হামলা চালিয়েছে জেলেনস্কির বাহিনী। এমন দাবি করে রবিবার সশস্ত্র বাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, রাশিয়ার দুটি প্রধান সড়ক হামলার শিকার হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ার সঙ্গে খেরসন অঞ্চলের সংযোগকারী চোনহার সেতু ও উপদ্বীপের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট সেতুতে হামলা হয়।
দায় স্বীকার করার আগেই সেখানকার রুশপন্থি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, হামলায় কিয়েভ জড়িত। খেরসনে রাশিয়ার নিযুক্ত প্রধান অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাজ্যের পাঠানো ‘স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।
একই দিন মস্কোয় একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিতের দাবি করেছেন মস্কোর মেয়র। রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তেল ট্যাংকার ও নৌ ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরপরই নতুন করে আক্রমণের চেষ্টা চালানো হয়।
থেরসনে রুশপন্থি ভারপ্রাপ্ত প্রধান ভ্লাদিমির বলেছেন, ‘রবিবার ক্রিমিয়ার দুটি সেতুতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল দূরপাল্লার স্টর্ম শ্যাডো। এই দুটি সেতু সামরিক কাজে ব্যবহার হতো না, সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ছিল। সেতুর পাশেই একটি গ্যাস পাইপলাইন রয়েছে। এতে ফাটল ধরেছে। হেনিচেস্ক শহরের ২০ হাজার বাসিন্দার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ।’
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের হামলা ইউক্রেনে চলমান বিশেষ সামরিক অভিযানের কিছুই হবে না। তারা প্রতিশোধ নিতে খেরসনের সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর আক্রমণ করছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ এখন রাশিয়ায় ফিরে গেছে। যদিও দেশটির মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলাকে কখনও সমর্থন করে না ওয়াশিংটন।