ক্যানসারের পর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভিকারুননিসা শিক্ষিকার মৃত্যু
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মগবাজারের ইনসাফ বারাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষিকা মোরশেদা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মগবাজারের ইনসাফ বারাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ভিকারুননিসা ন্যূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও স্বজন-সহকর্মীরা মোরশেদা বেগমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যক্ষ ও সহকর্মীরা জানান, মোরশেদা বেগম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার প্রভাতির শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। প্রথম কেমোথেরাপি নেওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার ডেঙ্গু টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এরপর মোরশেদা বেগমকে ইনসাফ বারাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার প্ল্যাটিলেট মাত্র এক হাজারে নেমে যায়। জীবন-মৃত্যুর এমন সন্ধিক্ষণে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তার রক্তের গ্রুপ ছিল ‘এ’ নেগেটিভ। আট ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন ছিল। তবে, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত হওয়ায় তা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় স্বজন ও সহকর্মীদের।
রক্তের জোগাড় হলেও চিকিৎসক, স্বজন, সহকর্মীদের শত চেষ্টাও তাকে বাঁচানো যায়নি। শুক্রবার সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মোরশেদা বেগমের মৃত্যুতে ভিকারুননিসা পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। শিক্ষিকার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ভিকারুননিসার শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম খুকু বলেন, ‘আপা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। হঠাৎ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেলাম। শুনলাম কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। প্রথম কেমো নেওয়ার পর তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। প্লাটিলেট অনেক কমে যেতে থাকে। সেটা মাত্রা ১০০০-এ নেমেছিল। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আজ সকালে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।’
মোরশেদা বেগমের মৃত্যুতে ভিকারুননিসা পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মোরশেদা বেগমের অকাল মৃত্যুতে ভিকারুননিসা পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’