কাঁচামরিচের ‘ডাবল সেঞ্চুরি
প্রথম নিউজ, ঢাকা: কয়েক দফা বাড়ার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। এক লাফে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে চলতি মাসে ডিমের দাম কয়েক দফা বাড়ে। মাসের শুরুতে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কয়েক দফা বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠে যায়।
এ দাম বাড়ার পর গত দুদিনে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। এখন রাজধানীর বাজারগুলোতে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, যা শুক্রবারও ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ছিল। এ হিসাবে গত দুদিনে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত।
অবশ্য মুদি দোকানে এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। মুদি দোকানে প্রতিপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকা। যা চলতি মাসের শুরুর দিকে ছিল ৮ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের পাশাপাশি হাঁসের ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। গত শুক্রবার এক ডজন হাঁসের ডিম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
ডিমের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, শুক্রবার একডজন ডিম ১২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। রোববার ও আজ পাইকারি বাজার থেকে কিছুটা কম দামে ডিম কিনতে পেরেছি। তাই দু'দিন ধরে ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫ টাকা।
কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী লিয়াকত বলেন, বন্যার কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কমে গিয়েছিল। এ জন্য কয়েক দফা দাম বাড়ে। এখন বন্যা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ডিমের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দামও কিছুটা কমেছে। আশা করছি, সামনে ডিমের দাম আরও একটু কমবে।
অন্যদিকে, বৃষ্টির প্রভাবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে কাঁচামরিচের দাম। কিছুদিন আগে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম এক লাফে বেড়ে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এখন এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা।
কাঁচামরিচের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, আড়তে মরিচ খুব কম এসেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মাত্র ৩ কেজি মরিচ আনতে পেরেছি। দাম পড়েছে রোববারের তুলনায় দ্বিগুণ। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে মরিচের দাম আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী জামিল বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মরিচের ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে মরিচের সরবরাহ কমেছে। আর সরবরাহ কমলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে কাঁচামরিচের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।