ওমর সানীকে নিয়ে ফেসবুকে কি লিখলেন অভিনেত্রী নূতন?
সম্প্রতি ‘প্রিয়তমা’ শব্দটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অভিনেত্রী অঞ্জনার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা চালাচালি হয় অভিনেত্রী নূতনের।
প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: সম্প্রতি ‘প্রিয়তমা’ শব্দটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অভিনেত্রী অঞ্জনার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা চালাচালি হয় অভিনেত্রী নূতনের। এরই প্রতিক্রিয়ায় ওমর সানীকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন চিত্রনায়িকা নূতন। ওমর সানী নায়ক নাকি মৌসুমীর জামাই, এমন প্রশ্নের উদ্রেকও ঘটেছে নূতনের ফেসবুক পোস্টে। দীর্ঘ পোস্টের একাংশে মৌসুমীকে বিয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে ওমর সানীকে- এমনটাই উল্লেখ করেন তিনি।
নূতন লেখেন- সানীর জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ও প্রভাব আসে যখন সে মৌসুমীকে বিয়ে করে। মৌসুমীকে বিয়ের পরদিন উজ্জ্বল চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার আর সানীর খানিকটা পড়ে যাওয়া ক্যারিয়ার সামাল দিতে না পেরে মানসিকভাবে দ্বিধায় পড়ে যায়। যার খেসারত সে মানসিকভাবেই প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। তাকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে।
এই অভিনেত্রী ওমর সানীর পরিচয় খুঁজতে গিয়ে বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে মানসিকতার খেসারত বা ভালোবাসা দেখানোর জন্য নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বঘোষিত মেধাবী দাবি করে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, ওমর সানী কি ফিল্ম হিরো না মৌসুমীর জামাই? সে কি অভিনেতা না বুদ্ধিজীবী? সে কি আইনজীবী না বিচারক? নিজের কাছে সে কী বা নিজেকে সে কী ভাবে তা হয়তো সময়ই বলে দেবে বা প্রকাশ পাবে।
প্রিয়তমা প্রসঙ্গ অবতারণা করে বলেন, কিভাবে এই নামকরণ আসছে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে সানীর থেকে এই চিন্তা এলে তাকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবি জানানো যেতে পারে। কারণ আমি সানীর লেখা দেখেই এ নামকরণের সঙ্গে পরিচিত হলাম। প্রিয়তমা কী? এর সংজ্ঞা কী? আদৌ এ নামের কোনো ব্যাখ্যা আছে কিনা? তা আমার জানা নেই। তবে ‘সানীর’ নামকরণের ফর্দ দেখে মনে হলো- ওই একই (যাহা ফাইভ তাহাই পাঁচ)।