ওবায়দুল কাদের খেলতে চান, কিন্ত মাঠে প্রতিপক্ষ রাখতে চান না: জোনায়েদ সাকি

রোববার (১৯ নভেম্বর) দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের খেলতে চান, কিন্ত মাঠে প্রতিপক্ষ রাখতে চান না: জোনায়েদ সাকি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে একা একা গোল দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের খেলতে চান কিন্ত মাঠে কোনো প্রতিপক্ষ রাখতে চান না। খেলোয়াড় থাকলেই সমস্যা। মাঠে তিনি শুধু রাখবেন দলের লোক। আর উনি খালি গোল দেবেন।’

রোববার (১৯ নভেম্বর) দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) প্রতিপক্ষকে স্টেডিয়ামের বাইরে রেখেছেন। তাদের জেলখানায় রেখে দিয়েছেন। এখন একতরফা নির্বাচন দিতে চাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাও এই খেলা ছাড়া আর কোনো খেলা খেলতে পারেন না। তারা একা মাঠে নামার সাহস করেন না। র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশের ছায়াতলে থেকে মাঠে আসেন তারা।’

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, ‘দেশের মানুষ এই তফসিল ও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার যদি আবার একতরফা নির্বাচন হয়, মানুষের ভোটের অধিকার চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে যদি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হয়, গণতন্ত্র বলে আর কছু থাকবে না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক সংকটে পড়বে।’

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন জায়েজ করতে তারা ভূঁইফোড় পার্টিকে নিবন্ধন দেয়। তাদের দিয়ে দেখাতে চায় অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হচ্ছে। দেশের শাসকরা এখন এভাবে রঙ্গ-তামাশা করছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের নামে ভোট ডাকাতি করতে চায়। আজগুবি যুক্তি, মিথ্যা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো আর সর্বাত্মক দমন-পীড়ন তাদের মূল ভরসা।’

এসময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তফসিল দিয়ে আপনি উৎসব শুরু করেছেন। আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন, এটা শুনে গাধারাও হাসে। অনতিবিলম্বে তফসিল স্থগিত করুন। যারা জেলে আছে তাদের মুক্তি দেন। এখনো সময় আছে, সোজাপথে হাঁটেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেন। কীভাবে নিরেপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটা নিয়ে ভাবুন।’

এর আগে বেলা ১১টায় হরতালের সমর্থনে পল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিজয়নগর মোড় ঘুরে সেগুনবাগিচা হয়ে প্রেস ক্লাবে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।