একতরফা চুক্তির কারণে ভারতের প্রতি ক্ষোভ বাড়বে: এবি পার্টি
বৃহস্পতিবার বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে এবি পার্টির নেতারা এ কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: একতরফা চুক্তির কারণে জনমনে প্রতিনিয়ত ভারতবিরোধী ক্ষোভ বাড়বে এবং অন্যায্য কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিক্রিয়ায় দেশের নাগরিকদের মধ্যকার শ্রেণী বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবি পার্টি। বৃহস্পতিবার বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে এবি পার্টির উদ্যোগে ‘ ট্রানজিটের নামে ভারতকে একতরফা করিডোর দেয়া, বৈষম্যমূলক কোটা পুনঃপ্রবর্তন, বেনজীর-আজিজ-মতিউরের মত হাজারো আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের লুটপাট এবং লাগাতার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ ডামি সরকারের দু:শাসনের বিরুদ্ধে’ এক প্রতিবাদী গণশুনানিতে এই অভিমত ব্যক্ত করেন সর্বস্তরের নাগরিক ও দলীয় নেতৃবৃন্দরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, পথচারী সাধারণ নাগরিক ও দলীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, জনগণের প্রশ্ন হলো এই সরকারের সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক কেন শুধু ভারতের স্বার্থে? ভারতের সাথে যৌথ স্যাটেলাইট চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কি? এতে আমাদের কি উপকার হবে? এই চুক্তি কি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি নয়? জনগণ এসব বিষয়ে জানতে চায়। আমি অবিলম্বে একতরফা এসকল সমঝোতা স্মারক বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্যে এবি পার্টিল সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে ট্রেনে করে ভারতের নাগরিকরা তাদের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলাচল করতে চাইলে বাংলাদেশের জনগণও ভারতের মধ্যদিয়ে নেপাল, ভুটান ও চীনে সড়কপথে যাতায়াতের রাস্তা পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো ক্ষমতাসীন সরকার ভারতের কাছ থেকে আমাদের স্বার্থ আদায়ে মনোযোগী নন। সীমান্তে বাংলাদেশি অসহায় নাগরিকদের নির্বিচার হত্যা বন্ধে ভারতের কাছ থেকে সরকার গত ১৫ বছরে কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশের সাথে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়েও সরকার জোর গলায় ভারতের কাছ থেকে কোন দাবি আদায় করতে পারেনি। তিনি বলেন, এই সরকার যেহেতু জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় আসেনি। তাই জনগণের অধিকার নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই। সরকারের এই নতজানুতা দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিরুদ্ধে আরও বেশী বিক্ষুব্ধ করে তুলছে।
গণশুনানিতে এবি পাির্টর যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, নারী উদ্যাক্তা আমেনা বেগম, ছাত্র প্রতিনিধি খালিদ সাইফুল্লাহ, শ্রমিক প্রতিনিধি মজিবর রহমান মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।