খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজনৈতিক দাওয়াই দরকার: মির্জা আব্বাস
বৃহস্পতিবার বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে যুবদলের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়’ এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজনৈতিক দাওয়াই দরকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে যুবদলের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়’ এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। আমরা কদিন পর পর দোয়া করছি। হ্যাঁ দোয়া একটি ভালো বিষয়। তবে দোয়া মাহফিল রাজনীতির অংশ নয়। ধর্মীয় অংশ হিসেবে আমরা দোয়া করবো। আর দোয়ার সঙ্গে দাওয়াইও লাগবে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে ধর্মীয় অংশের বাইরে রাজনৈতিক অংশ হিসেবে দাওয়াইও লাগবে। কারণ রাজনৈতিক দাওয়াবিহীন খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন ততবারই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুবদলের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। ওইসময় আমি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি।
আমাদের সফলতা ছিল এটুকু যে, সবসময় একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সঙ্গে মূল দল বিএনপিসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলো ছিল। একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। আমরা আন্দোলন করে একে একে তিনবার বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলবা
আহ্বাস বলেন, এখন আমাদের প্রত্যাশা হলো এখনকার যুবদলের একটা বিশাল পরীক্ষা হবে যে, তারা এই দলকে ক্ষমতায় কতদূর নিয়ে যেতে পারবে? এমনকি এই দেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হলো আমাদের লক্ষ্য। সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন নতুন নতুন কমিটি হচ্ছে। সকল নতুন কমিটিগুলোর এটাই হলো কাজ। কারণ এই কমিটিগুলোর পরিবর্তন একটা আশা করেই করা হয়েছে কিন্তু। কাউকে পদ-পদবী বেঁচাকেনার জন্য দেওয়া হয় নাই। এই কমিটি এই দলকে নতুন জীবন দান করবেই এই আশা করেই কমিটি করা হয়েছে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, উত্তরের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।