ঋণ নিতে পারবেন খেলাপিরাও!
প্রথম নিউজ, ঢাকা : প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মধ্য দিয়ে দেশে এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল আইএস মতাদর্শী জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবি। ওই হামলার সাত বছর পর এসে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক অনেকটাই ভেঙে গেছে।
জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, আনসার আল ইসলামের সঙ্গে বাকি দুটি সংগঠনের সম্পর্ক মূলত মতাদর্শকেন্দ্রিক। জেএমবি ও নতুন সংগঠন শারক্বীয়াও আল-কায়েদা মতাদর্শ অনুসরণ করে।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সহজ শর্তে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে খেলাপি গ্রাহকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পান। এবার গ্রুপভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি থাকলেও তাদের অন্য প্রতিষ্ঠান ঋণ পাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা ঋণখেলাপি, তাদের এখন যতটা সম্ভব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে খেলাপি ঋণ তো কমবেই না, বরং ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য আরও খারাপ হবে। ব্যাংকগুলোতে থাকা আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকিতে পড়বে।’
বাজারে আগুন যেন থামছেই না। যৌক্তিক কারণ ছাড়াই যে যার মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম এক সপ্তাহর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হতভম্ব, সংক্ষুব্ধ; কিন্তু অসহায় সবাই। কারও যেন কিছুই করার নেই। মাসের বাজেট দিয়ে সপ্তাহ পার করাই দুষ্কর। গরিবের কষ্টের বাজার শুধু কান্নায় ভরা। মধ্যবিত্তের হাসফাঁস অবস্থা। অনেকে বাধ্য হয়ে শুধু খাবারের বাজেট কাটছাঁট করছেন।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে রিজার্ভে সাময়িক চাপ কমলেও পরে তা বেড়ে যাবে। আপাতত স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ কমায় ডলারের সংকটেরও সাময়িক উপশম হবে।
ইতোমধ্যেই ১০৪৭ কোটি ডলার ঋণের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ডলারের দাম দুই-ই বাড়বে। ফলে বেড়ে যাবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ। ফলে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের দায় আরও বেড়ে যাবে।
সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৮ বিলিয়ন (৫ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখনো পুরো অর্থবছরের পরিসংখ্যান প্রকাশ পায়নি। তবে অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ডলারে।
প্রধান বাজারগুলোয় মন্দা ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য অর্জন হবে কি
২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যপূরণের জন্য জুনের শুরুতে এক মাসের মধ্যে ৭৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের রফতানিকারকদের সামনে। তবে বিশ্ববাজার; বিশেষ করে প্রধান রফতানি গন্তব্য দেশগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এক মাসের মধ্যে এ লক্ষ্যপূরণ একেবারেই অসম্ভব বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বিশ্ববাজারে বিপুল চাহিদা থাকার পরও অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম পাচ্ছে না ভোক্তা ও দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। দেশের কোথাও এবার সরকারের বেঁধে দেওয়া দর পাননি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
কয়েক বছরের মতো এবার চামড়া নষ্ট হওয়া বা মাটিতে পুঁতে ফেলার ঘটনা খুব একটা চোখে পড়েনি। এ বছর গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া ঢাকায় ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে ৩০ টাকায়ও বিক্রি হয়নি।
এছাড়া সরকার নির্ধারিত দামেও বিক্রি হলো না চামড়া; মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি চলছে; ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় শতাধিক নিহত; বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৫০; ছয় মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর রেকর্ড শনাক্ত ৮২৪৮; সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ; জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি, বৃষ্টিপাত বাড়বে আরও সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।